নিউজ ডেস্ক: উচ্চ আদালতে গিয়ে মিলল ফল। জামিন হল সন্দেশখালিতে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিকের। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়া রিপাবলিক বাংলার সাংবাদিক সন্তু পানকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি তদন্তেও স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
এই মামলার শুনানিতে রাজ্যকে কার্যত ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তিনি বলেন, ‘মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারছেন না, নিরীহ সাংবাদিকদের গ্রেফতার করছেন। এফআইআর দেখে প্রাথমিকভাবে অযৌক্তিক এবং মোটিভেটেড মনে হচ্ছে। পুলিশ আধিকারিকদের বলুন, তাঁদের যেটা করার, সেটা করতে। পুলিশ আধিকারিকদের কথা ভেবে আমি দুঃখিত।’ গোটা বিষয়টিকে উপহাসের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, মন্তব্য হাইকোর্টের।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মরত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সাংবাদিককে গ্রেফতার করার বিষয়ে বসিরহাটের এসপি জানান, এক মহিলা তাঁদের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি যখন বাড়িতে কিছুটা অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিলেন তখন ওই সাংবাদিক প্রায় জোর করে বাড়িতে ঢুকতে চান। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তাঁকে সন্দেশখালির ফেরিঘাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয় সন্দেশখালিতে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক সন্তু পান। কিন্তু আদালত তরফে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছিল ওই সাংবাদিককে।
এর পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় সন্তু। অবশেষে বৃহস্পতিবার তার জামিনের ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এ নিয়ে আর গণ্ডগোল না হয় তার জন্য তদন্তেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য সাংবাদিকের মুক্তির দাবি চেয়ে আগেই সরব হয়েছেন রাজনৈতিক মহল থেকে সংবাদ মাধ্যমের অনেকেই। সন্তু পানকে গ্রেফতারের ঘটনায় গর্জে উঠেছিলেন সকলেই।