নিউজ ডেস্ক: ৯ দিনের মাথায় সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৃহস্পতিবার বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ধামাখালিতে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এরপর পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা হয় বিজেপি নেতাদের। অন্তত দলের এক জনকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এর পর জেলার সাধারন সম্পাদককে সাথে নিয়েই সন্দেশখালির লঞ্চে ওঠেন তিনি।
সুকান্ত জানান, তিনি সন্দেশখালিতে গিয়ে ধৃত কর্মী বিকাশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। তার পর সন্দেশখালি থানায় আইসির সঙ্গে কথা বলতে যাবেন। উল্লেখ্য সন্দেশখালির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহও। ধৃত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বসিরহাট উপসংশোধনাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সংশোধনাগারের বাইরে বেশ কিছু ক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পরে সুকান্ত অনুমতি পেয়ে সংশোধনাগারে ঢোকেন এবং ধৃতদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপরেই বিজেপি সভাপতি সংশোধনাগারের বাইরে বেরিয়ে জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেন।
যদিও প্রথমে সন্দেশখালির পথে বাঁধা পায় সুকান্ত মজুমদার। সন্দেশখালি ঢোকার আগে ধামাখালিতে সুকান্ত কে বাঁধা দেয় পুলিশ। এরপর পুলিশের সাথে কথাবার্তা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতির। পুলিশ জানিয়েছিল, সন্দেশখালিতে সুকান্ত একা যেতে পারেন। তবে দলবল নিয়ে তিনি সেখানে যেতে পারবেন না। তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন কেবল তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু সুকান্ত নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও তাঁর সঙ্গে আরও এক জন দলের কর্মীকে নিয়ে সন্দেশখালিতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ প্রথমে তাতে অনুমতি না দিলেও পরে জেলার সাধারন সম্পাদককে সাথে নিয়ে সন্দেশখালি যেতে অনুমতি দেয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে।
উল্লেখ্য এর আগে সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর পুলিশি বচসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। সেই ঘটনার ৯ দিন পর ফের সন্দেশখালি যাচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার।