নিউজ ডেস্ক: হাই কোর্টের নির্দেশকে অমান্য। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিধাননগরের নয়াপট্টিতে একটি বেআইনি ক্লাব ভাঙতে পারেনি পুলিশ-পুরসভা। এনিয়েই এ বার বিচারপতি অমৃতা সিংহের কাছে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পরে বিধাননগরের পুলিশ ও পুর প্রশাসন। পাশাপাশি জানাগেছে সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া ও নিগ্রহের ঘটনাতেও কাউকে গ্রেফতার করেনি বিধাননগর পুলিশ ।
ফলে বৃহস্পতিবার বিচারপতির এজলাসে তিরস্কার সইতে হল বিধাননগরের পুলিশ ও পুর প্রশাসনকে। এদিন বিচারপতি বিধাননগরের পুলিশ ও পুর প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দেয় আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে ওই নির্মাণ ভাঙতে হবে। তা না হলে পুলিশের বদলে তিনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে বাধ্য হবেন। পাশাপাশি বিচারপতি সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন আদালতের নির্দেশ পালনে পুলিশ-পুরসভার কত দূর সদিচ্ছা আছে তা নিয়েও তিনি যথেষ্ট চিন্তিত।
প্রসঙ্গত, বিধাননগর পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টিতে আদিত্য স্মৃতি সঙ্ঘ নামে একটি ক্লাব আছে। যার সভাপতি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পুরপ্রতিনিধি জয়দেব নস্কর। একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ক্লাবটির নির্মাণকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে পুরসভাকে সেই নির্মাণ ভাঙতে বলা হয়েছিল। এরপর নয়াপট্টিতে ৯ জানুয়ারি ক্লাবটি ভাঙতে গিয়ে সমর্থকদের বাধা পেয়ে ফিরে যায় পুরসভা ও পুলিশ। শুক্রবারেও এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। এ দিন দুপুরে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবটি ভাঙতে গেলে সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। কেরোসিন ছুড়ে দেওয়া হয় পুলিশ ও পুর আধিকারিকদের গায়ে। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা যায় বিক্ষোভকারীদের। শেষে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা যায় তাঁদের। অবশ্য এ বিষয়ে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশ তাঁরা পাননি।
তবে সমগ্র ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। কেন তারা আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই নির্মাণ ভাঙতে সক্ষম হচ্ছেনা বা পুলিশের বিরুদ্ধে জড় হওয়া বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠছে ইতিমধ্যেই। এখন এটাই দেখার যে আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯ মার্চের মধ্যে ওই নির্মাণ ভাঙতে বিধাননগর পুলিশ ও পুরসভা সক্ষম হয় কিনা নাকি বিচারপতিতে বাধ্য হয়ে তার কথা রাখতে ওই নির্মাণ ভাঙতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দায়িত্ব দিতে হয়।