নিউজ ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জ্বলছে মায়ানমার। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। বিদ্রোহীদের দখলে চলে যাচ্ছে একের পর এক শহর। জানা গেছে প্রায় ৩০% শহর বর্তমানে বিদ্রোহীদের দখলে। সাগাইং, মাগউই ও মান্দালে অঞ্চল এবং কাচিন ও কারেন প্রদেশের একাধিক ঘাঁটি দখল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শহর রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় তিন সেনা আধিকারিককে ফাঁসির সাজা দিয়েছে জুন্টা সরকার।
প্রসঙ্গত,কয়েকদিন আগেই চিন সীমন্তবর্তী লাউকাই শহরটি দখল করেছে বিদ্রোহীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’। কৌশলগত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই শহর। ফলে রীতিমতো ধাক্কা খেয়েছে জুন্টা। শুধু তাই নয়, এই পরাজয়ে ধাক্কা খেয়েছে বার্মিজ সেনার মনোবল। সূত্রের খবর, শহর হাতছাড়া হওয়ার অপরাধে তিন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে জুন্টা।
জানা গিয়েছে, লাউকাই শহরের কমান্ডার-সহ ৩ ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, গত মাসে বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্সে’র হাতে শান প্রদেশের লাউকাই শহরের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয় ওই তিন আধিকারিক। এর ফলে কার্যত ধাক্কা খেয়েছে জুন্টা সরকার। এরপরেই লাউকাই শহরের ৩ ব্রিগেডিয়ার জেনারেলকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করে জুন্টা সরকার।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের যৌথ অভিযানে আজ নড়বড়ে সামরিক জুন্টা সরকারের আসন। বস্তুত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির সীমান্তবর্তী বহু অঞ্চলই এখন তাদের দখলে। মায়ানমারের এহেন ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ভারতেরও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।