নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের পর শনিবারেও থমথমে সন্দেশখালির পরিবেশ। সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এবার দুয়ারে পুলিশ। উত্তপ্ত বেড়মজুর থেকে এলাকাভিত্তিক ক্যাম্প খুলল প্রশাসন। ক্যাম্পের নেতৃত্বে রয়েছেন DIG বারাসাত ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি সিসিটিভিতে চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। বেড়মজুর ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। যদিও খোলা রয়েছে বেশ কিছু দোকানপাট ও বাজার। ক্যাম্পে কেউ অভিযোগ জানালে তাদের অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
এছাড়াও বেড়মজুরে টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। থমথমে বেড়মজুরে চলছে পুলিশের রুটমার্চ। একালা পরিদর্শনে রয়েছে ADG দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
অন্যদিকে সন্দেশখালির নিশানায় এবার শেখ শাহাজাহানের ভাই। হ্যমিওপ্যাথি ডাক্তার থেকে ‘ডাকাত’ সিরাজউদ্দিন- এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। অন্যদিকে জমি দখল থেকে গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচার, এমনই অভিযোগের পাহাড় সিরাজের বিরুদ্ধে। ঝুপখালির ক্যাম্পে শেখ শাহাজাহানের ভাই এর বিরুদ্ধে এমনই একের পর এক নালিশ জানায় গ্রামবাসীরা। শনিবার সকালেই সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে জমা পড়ল ৪টি অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েপড়ে সন্দেশখালিতে। বেড়মজুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছারি এলাকায় মাছের ভেড়ির আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা দাবি করেন, যে ব্যক্তির মাছের ভেড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে, তিনি আদতে শাহজাহানের অনুগামী। তারইমধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে ‘জুতোপেটা’ করা হয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর বাড়িতে। এপরেই আছড়ে পড়ে জনরোষ। ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। গ্রামবাসীদের দাবি, শাহজাহানের নির্দেশে স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জমি দখল করে নিতেন ওই তৃণমূল নেতা।
শুক্রবার যখন সন্দেশখালিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, সেইসময় এলাকায় টহল দেওয়ার মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি স্বীকার করে নেন যে পুলিশের গাফিলতি হয়েছে। জমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সঠিকভাবে যে পদক্ষেপ করা হয়নি, তা স্বীকার করে নেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। তবে একইসঙ্গে এই বার্তাও দেন যে কেউ যেন নিজের হাতে আইন তুলে না নেন। একজন আইন মানেননি বলে অপরজনও আইন লঙ্ঘন করবেন, সেটা হবে না। কেউ যদি নিজের হাতে আইন তুলে নেন, তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।