নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে সন্দেশখালি-দিলীপ ঘোষ,অগ্নিমিত্রার পর সন্দেশখালি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে রবিবার কলকাতা ফিরবেন শুভেন্দুবাবু। সন্দেশখালি নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতেই তাঁর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যাওয়ার আগে বিমান বন্দরে সন্দেশখালী নিয়ে একাধিক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
সন্দেশখালি কি দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে? প্রশ্নের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “হ্যাঁ, বশ্যতার বিরোধী সংগ্রাম। নন্দীগ্রাম শুরু হয়েছিল জমি অধিগ্রন দিয়ে। এটা শুরু হয়েছে মেয়েদের উপর অত্যাচার দিয়ে। তার সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ তো রয়েছে। তবে যেটা নন্দীগ্রামে ছিল না সেটা এখানে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরে ২০১৩ সাল থেকে কেউ ভোট দিতে পারেননি। তিনটে বড় ইস্যু নিয়ে এই সংগ্রাম।” যদিও তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দুরাই ষড়যন্ত্র করে সন্দেশখালিতে অস্থিরতা জিইয়ে রাখছে। সন্দেশখালিকে নন্দীগ্রাম বানানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও অধরা সন্দেশখালির ‘বাঘ’ শেখ শাহজাহান। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ধরবে না। ভোট আসবে আর কালীঘাটে টাকা সাপ্লাই করবে।” এরপরে রাজীব কুমারের সন্দেশখেলিতে রাতে থাকা প্রসঙ্গে বলেন, “চোর ধরতে যায়নি। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গেছিলো। জমি ফেরত তো আমি করেছি। নিজের জমি নিজে নেবে এতে পুলিশ কি করবে। আর জেলিয়াখালীতে গেছিলেন শিবু হাজরার ম্যানেজার হিসাবে। উনি বলেছেন শাহজাহান ইডি সিবিআইয়ের মামলা পুলিশ নট ইন্টারেস্টেড। উনি গেছিলেন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কারণ উনি তো এখন তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট। সুব্রত বক্সী নামেই প্রেসিডেন্টের কাজটা রাজীব কুমারকে সুব্রত বক্সী দিয়েছেন।
পাশাপাশি শিখ পুলিশ কর্মীকে খালিস্তানি বলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী জানান, “আমি ওই সম্প্রদায়কে প্রণাম জানাই। যদি কোনো ছবি দেখান যা বলবেন স্বীকার করে নেবো। ওটা ম্যানুফ্যাকচার্ড পিকচার ভয়েস ওটার সঙ্গে আমাদের দলের বা আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”