নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের
আগে ভারতকে অশান্ত করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে নানান প্রান্তে। অযোধ্যায় প্রাণ প্রতিষ্ঠার
সময় থেকেই সংখ্যালঘু বিচ্ছিন্নবাদীরা মহারাষ্ট্রের একাধিক জায়গায় হিন্দুদের ধর্মীয়
কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে মমতা
সরকারের এমলে। তবে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের মিরা রোড
এবং ভিয়ান্ডের কিছু এলাকা জিহাদী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। এলাকায় মুসলিম ধর্মগুরুদের
একাংশ মুসলিম যুবকদের লাভ জিহাদ করতে উদ্বুদ্ধ করছে।
সম্প্রতি মিরা রোডের বেশ কয়েকটি মহিলাদের অভিযোগ সামনে এসেছে।
অভিযোগ তাঁদের মুসলিম স্বামীরা জোর করে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করছে। এক মহিলার অভিযোগের
ভিত্তিতে তার স্বামী আমি শেখ এবং শাশুড়ি রেশমা শেখ ধর্ম বদল করার জন্য চাপ দিচ্ছিল।
পুজো করার অপরাধে তাঁকে মারধর করা হত। এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে মুম্বাইয়ের
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে।
তবে সবেচেয়ে বেশি আলোড়ন ফেলেছে দারুল উলুম দেওবন্দের গজওয়া এ
হিন্দের ঘোষণা। দেওবন্দের ওয়েবসাইটে গজওয়া এ হিন্দের প্রশংসায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা
হয়। যারা গজওয়া এ হিন্দ সম্পর্কে জানেন না তাঁদের বলে রাখা ভাল এটি একটি পরিকল্পনা।
যার মাধ্যমে ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত করা এবং এখানকার সকল বাসিন্দাদের মুসলমান
বানানোই “গজওয়া এ হিন্দের” লক্ষ্য। হজরত মুহম্মদের সামরিক অভিযানকে “গজওয়া” বলা হত।
যেই ধারণাকে হাতিয়ার করে এই প্রজন্মের সন্ত্রাসীরা তাঁদের বিকৃত ভাবনা সার্থক করার
জন্য এই চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বিষয়টি সামনে এসতেই ময়দানে নেমেছে প্রশাসন। এনসিপিসিআর
পুলিশকে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কথা বলতেই এফ আই আর করা হয়। তবে সর্বভারতীয় সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী দেওবন্দ
জানিয়েছে ২০০৮ সাল থেকে তাঁদের ওই প্রতিবেদন তাঁরা প্রকাশিত রেখেছে। তাঁরা এবিষয়ে ক্ষমা
প্রার্থনা করবে না। প্রয়োজনে আইনী লড়াই চলবে। ফলে এতে দেওবন্দের মানসিকতার স্পষ্ট পরিচয়
পাওয়া যায়। তাঁরা আদতেই দেশ বিরোধী মানসিকতাকে উস্কানি দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রসঙ্গগত দেওবন্দের অতীতেও তাঁদের কট্টর মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে একাধিকবার দেওবন্দকে
নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি উঠেছে। কিন্তু ভোট ব্যাঙ্কের কথা বলে পূর্বতন সরকার দেওবন্দের
উস্কানিমূলক কাজকে দেখেও না দেখার ভান করে থেকেছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এখন যোগীরাজ।
ফলে দারুল উলুম দেওবন্দের জন্য এই ধরণের কাজ যে খুব সুখকর হবে না তা বলাই বাহুল্য।