নিউজ ডেস্ক: ভূতে ধরেছিল নাকি উচ্চমাধ্যমিকের
ছাত্রীকে। ভূতের ভয়ে ইকোনোমিক্স আর এডুকেশন পরীক্ষা দিতে পারে নি
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার পর ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক হয়েছে।
কিন্তু তাতেও ভূতের ভয় কাটেনি ওই ছাত্রীর। এবার ভূতের ভয়
কাটাতে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিরা ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হলেন।
আলিপুরদুয়ার জংশন নর্থপয়েন্ট এলাকায় বসবাস করেন ওই ছাত্রী। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেলেও
ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকেদের বিশ্বাস তাকে ভূতেই ধরেছিল। তবে এখন আবার ওই দুই
পরীক্ষা দিতে চাইছে ওই ছাত্রী।
শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন আবার ফর্ম
ফিলাপ করে আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়া ছাড়া আর অন্যকোন উপায়
নেই। ভূতের ভয়ে আতংকগ্রস্ত ছাত্রী আলিপুরদুয়ার নির্মলা
গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। এবার শ্যামাপ্রসাদ হাইস্কুলে তার উচ্চ মাধ্যমিকের
পরীক্ষাকেন্দ্রছিল। কিন্তু সোমবার ও
মঙ্গলবার তথাকথিত ভূতে ধরার কারণে সে ইকোনোমিক্স ও এডুকেশন
পরীক্ষা দিতে পারে নি।
জানা গিয়েছে রবিবার রাত থেকে অস্বাভাবিক আচরন
করতে শুরু করে ওই ছাত্রী। সোমবার সকালে ওঝার কাছে ঝাড়ফুঁক করিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে
নিয়ে গেলেও ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে পারে নি। সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও
পরীক্ষা দিতে পারে নি ওই ছাত্রী। বন্ড সই
করে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে এনে আবার ওঝার কাছে নিয়ে যান তার পরিবারের লোকেরা। ওই
ছাত্রীর শ্বাশুরি প্রতিমা রায় বলেন, “ আমাদের
বাড়ির চারপাশে বেশ কিছু অপমৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে আমরা ভূতে বিশ্বাস করি। আমার
বউমাকে ভূতে ধরেছিল। ও অন্যরকম আচরন করেছিল। ওঝাকে দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে ঠিক করেছি।
তবে এখনো ওর ভূতের ভয় কাটে নি। বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে পারে কিনা দেখি। হাসপাতালে
থাকলে ওকে ঠিক করতে পারতেন না চিকিৎসকরা ।” ওই ছাত্রীর ভূতের ভয় কাটাতে শুক্রবার
সকালে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রতিনিধিরা ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান । উচ্চ
মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আলিপুরদুয়ার জেলায় পরীক্ষা পরিচালন কমিটির সদস্য ভাষ্কর
মজুমদার বলেন, “ এই
ঘটনা আমাদের কাছে খুব লজ্জার। বর্তমান সময়ে এমন কেউ ভাবতে পারেন সেটাই আমাদের কাছে
লজ্জার বিষয়। আমিও একজন শিক্ষক। সেই কারণে এই ছাত্রীর বাড়িতে এসে তাদের বুঝিয়েছি।
২৭ ও ২৮ তারিখ ওই ছাত্রীর পলসায়েন্স ও হিস্ট্রি পরীক্ষা রয়েছে। আমরা চাইছি ওই
ছাত্রী ওই দুটো পরীক্ষা দিক। আগামী বছর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবার ফর্মফিলাপ
করুক।” তবে ওই ছাত্রী কিন্তু অন্যকথা
বলছে। সে বলে, “আমি যে দুটো পরীক্ষা দিতে পারি নি এই বছরই
সেই পরীক্ষা দিতে চাই। আমি শুনেছি অন্য রাজ্যে পরীক্ষার একমাসের মধ্যে কেউ আবার
পরীক্ষা দিতে চাইলে পরীক্ষা দিতে পারে। আমাদের রাজ্যে কেন এই নিয়ম নেই?”