নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং
ব্লকের পাঁচ নম্বর সারতা অঞ্চলের রামপুরা বুথে ২০২৩
সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী জয়লাভ করেছিল। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ
সরকারের মন্ত্রী ও তথা সবং এর বিধায়ক
ডাক্তার মানস ভূঁইয়ার হাত ধরে কংগ্রেস দল ছেড়ে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা শংকরী
মান্না তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেন সঙ্গে প্রায় ২০০ জন কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে
নিয়ে। কংগ্রেসের
অভিযোগ ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোট ভেঙ্গেছেন দলের নেত্রী এবার কংগ্রেসের কর্মী ভাঙাচ্ছে
তাঁদের নেতারা। কংগ্রেস দলটাকে তুলে দিতে চায় তৃণমূল। ভয় ও লোভ দেখিয়ে কংগ্রেসের কর্মীদের
ভাঙানো হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যা
শংকরী মান্না বলে বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে গরীব
মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং ১০০ দিনের টাকা যখন মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার
ব্যবস্থা করেছেন । তাই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল
কংগ্রেস দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কংগ্রেস দল
ছেড়ে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছি। মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় আছেন। এখন কেন তৃণমূলে এলেন তার উত্তর দেননি শংকরী
মান্না। আসলে উন্নয়নে জোয়ারে ভাসলে চিন্তা কম পকেট ভারি হয় ভাল্ভাবেই তাই যোগদান কটাক্ষ
স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীদের। এই যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের
মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভূঁইয়া, প্রাক্তন বিধায়ক গীতা
ভূঁইয়া, সবং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও জেলা পরিষদের
কর্মাধ্যক্ষ শেখ আবু কালাম বক্স, বিধায়ক প্রতিনিধি বাদল
বেরা ,অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাবুলাল মাইতি, উপপ্রধান সুব্রত নায়ক, অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের
কার্যকরী সভাপতি নিরঞ্জন জানা সহ অন্যান্য
নেতৃবৃন্দ ও পঞ্চায়েতের সদস্য
সদস্যা। শনিবার বহু মানুষজনের উপস্থিতিতে
এই যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়া
পঞ্চায়েত সদস্যা সহ সকলের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেওয়ার পর রাজ্যের
মন্ত্রী ডাক্তার মানস ভূঁইয়া বলেন,“সারা
বাংলা আজ মানুষ মমতামুখী হয়েছেন, কারণ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন তিনি গরীব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি
তাদের ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা যেমন দু‘একদিনের মধ্যে
একাউন্টে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন, আবার ঘোষণা করেছেন গরিব
মানুষের আবাস এর টাকা ও পৌঁছে দেওয়া হবে”। তিনি বার্তা দেন
যে লোকসভা নির্বাচন আসন্ন সবাইকে একসঙ্গে চলতে হবে। প্রসঙ্গত মানস ভূঁইয়া নিজেও কংগ্রেস করতেন। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে মন্ত্রী হয়েছেন।
তিনি নিজেই এখন কংগ্রেসের কর্মী ভাঙাচ্ছেন ভেবে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা।