নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার এক মাস পূর্ণ হল অযোধ্যার রাম মন্দিরের। গত মাসে ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই মন্দিরের উদ্বোধন করেন। আর এই এক মাসের মধ্যে বড়সড় রেকর্ড করে ফেলল রাম মন্দির। উপচে পড়ল দানপাত্র। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে রাম মন্দিরের ডোনেশন বক্সে জমা পড়ল কোটি কোটি টাকা। টাকা পয়সার সঙ্গে ডোনেশন বক্সে জমা পড়েছে সোনাদানাও।
প্রান প্রতিষ্ঠার পরদিন থেকেই সাধারণ ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। গত একমাস ধরে প্রতিদিন লাখ লাখ পুণ্যার্থী রামলালার দর্শনে উপস্থিত হচ্ছেন। জানা গিয়েছে, গত একমাসে রাম মন্দিরে ৬২ লাখ ভক্ত দর্শনে পৌঁছন। ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। মন্দির ট্রাস্ট কমিটি জানিয়েছে, দেশে আর কোনও মন্দিরে এক মাসে এত বিপুল সংখ্যায় ভক্ত সমাগম হয়নি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিগত এক মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে মন্দিরের দান পাত্র এবং কাউন্টারে। মন্দিরে ছয়টি ডোনেশন কাউন্টার রয়েছে। এ ছাড়াও মন্দিরে রাখা রয়েছে চারটি দানপাত্র। নিত্যদিনই সেখানে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়। গত ৩০ দিনে মন্দিরে ১০ কেজি সোনা, ও ডোনেশন বক্সে জমা পড়েছে ২৫ কেজি রুপো। প্রতিদিন দানপাত্র এবং ডোনেশন কাউন্টারে পুণ্যার্থী ভিড় বাড়তে থাকায় কর্মচারীদের সংখ্যা বাড়িয়েছে রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। প্রতিদিন ব্যাংকের দশজন এবং মন্দিরের চার কর্মচারী টাকা পয়সা গোনার কাজ করছেন।
তবে বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মোটা অঙ্ক জমা করেছেন। সেই অঙ্ক আলাদা করে জানাবে ট্রাস্ট। অনেক ভক্ত বহু মূল্যের অলঙ্কার দান করেছেন। সেই হিসাবও পৃথকভাবে জানাবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। রাম মন্দির তৈরির পর রাম মন্দির নিয়ে দেশ ব্যাপী যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল তা একমাস পরও অব্যাহত। তাই চলতি বছরে বারাণসী, মথুরা, বৃন্দাবন, পুরী, তিরুপতি, কামাখ্যার তুলনায় অযোধ্যায় পুণ্যার্থীর ভিড় যে তুলনামূলক ভাবে বেশি হবে তা ধারনা করছেন অনেকেই।