মালদহ: তৃনমূল সাংসদ মৌসুম বেনজীর নুরের সামনেই
বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ। ধস্তাধস্তি
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
প্রকাশ্যেই একে অপরের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পরল নিহার অনুগামী এবং জেলা পরিষদের
কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল অনুগামীরা। কর্মী সমর্থকদের গন্ডগোলের জেরে এলাকা ছেড়ে
পালাতে বাধ্য হলেন তৃনমূল নেতৃত্বরা। এমনই ঘটনা সামনে এলো হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর
ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এমনকি এর পরে বড়ই এবং কুশিদা এলাকাতে
বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ গেলে সেখানেও একই পরিস্থিতির লক্ষ্য করা যায়। কুশিদা
অঞ্চলে প্রকাশ্যে রবিউল ইসলাম অনুগামী এবং নিহার রঞ্জন ঘোষ অনুগামীরা একে অপরের
সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল
বিধানসভার অন্তর্গত
রশিদাবাদ, বরুই,
কুশিদা এবং তুলসীহাটা এই চারটি অঞ্চল শাসকদলের হাত ছাড়া হয়ে যায়।
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ এই হারের জন্য এলাকার বিধায়ক নীহার রঞ্জন
ঘোষ দায়ী। তাই এদের নিহারকে মৌসুমের পাশে দেখতে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার
তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটের আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল।
গোটা ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার চাঁচল
বিধানসভার অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার রশিদাবাদ, বরুই কুশিদা এবং তুলসীহাটা অঞ্চলে ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের তথ্য
সংগ্রহ করছিল শাসক শিবির। তুলশিহাটা অঞ্চল থেকে এই ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা ছিল
মৌসুম নূর, নিহার ঘোষ, মর্জিনা খাতুন
রবিউল ইসলাম সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিযোগ
রবিউল ঘনিষ্ঠরা মৌসুম নূরকে প্রথমে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে নিয়ে যান। এবং
সেখান থেকেই রবিউল অনুগামীদের মদদেই নিহার রঞ্জন ঘোষ কে সামনে পেয়ে বিক্ষোভ
দেখানো হয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও। কুশিদা
এলাকায় এই দুই নেতার অনুগামীরা একে অপরের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিতেও জড়িয়ে
পড়েন। যদিও নীহার এবং মৌসুম দুজনেই এই ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন। রবিউলের দাবী
দল বড় হয়েছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়ে ছিল কিন্তু কোন ধস্তাধস্তি বা
হাতাহাতি হয়নি।