নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রসঙ্গ সন্দেশখালি। এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার তাঁকে নিয়েই উত্তপ্ত ছিল সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রাম। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে অন্য এক জনের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে পুলিশ তাঁকে আটক করে মিনাখাঁ থানায় নিয়ে যায়। এরপর সোমবার সকালে অজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তাঁর বাড়িতে হামলা হয়েছিল। তার অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যার শ্লীলতাহানি হয়েছে। এই সবের মাঝেই বেড়মজুর ১ নম্বর অঞ্চল সভাপতি করা হয় অজিত মাইতিকে। উল্লেখ্য, শেখ সিরাজউদ্দিনকে সরিয়ে শনিবারই তাঁকে বেড়মজুর ১ নম্বর অঞ্চল সভাপতি করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে এসেছিলেন রাজ্যের ২ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। কিন্তু এরপর রবিবার ফের অজিত মাইতিকে ধাওয়া করে এলাকার মহিলারা। তাদের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তির শেষ নেই, নেতা-মন্ত্রীরা এলেও সুরাহা হচ্ছে না। তাই তাঁদের শাড়ি, চুড়ি পরাতে চান। মহিলাদের তাড়া খেয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে প্রায় ৪ ঘণ্টা লুকিয়ে থাকেন অজিত মাইতি। এরপর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে সেখান থেকে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আর সোমবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অজিত মাইতিকে।
গ্রেফতারের আগে জনরোষের মুখে পড়ে দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন অজিত মাইতি। যদিও ২ মন্ত্রীর দাবি, অজিত দলের কেউ নন, তাঁকে আগেই পদ থেকে সরানো হয়েছে। উল্লেখ্য সভাপতি ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই অজিতকে পদ থেকে সরায় দল। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, অজিতের পাশে দল নেই।
প্রসঙ্গত, অজিতের বিরুদ্ধে এলাকায় অত্যাচার, জমি জবরদখলের মতো অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তিনি শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দীনের ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। এক সময়ে নাকি গ্রামবাসীদের চমকে-ধমকে বেড়িয়েছেন অজিত। আর তাই গ্রামের মহিলাদের জনরোষের মুখে পড়েছেন তিনি। তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে শনিবারও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এরপর রবিবার তাঁকে সামনে পেয়ে তাড়া করেন। অবশেষে সোমবার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বেড়মজুরের তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি।