নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এবার শবে বারাতের মিছিল থেকে মন্দিরের ওপর হামলা। নিশানায় ফের সনাতনী ধর্ম। রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই চলছে একের পর এক হামলা। এরই মধ্যে হাওড়ায় ফের একসঙ্গে ৫ টি মন্দির ভাঙচুরের ভিডিও ফুটেজ সামনে এল।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মাথায় ফেজ টুপি আর কুর্তা পাজামা পড়া একদল উন্মত্ত জনতা মন্দিরে রাতের অন্ধকারে ভাঞ্চুর চালচ্ছে।
সকালে ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকার হিন্দু ধর্মের মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা রেললাইন ও পথ আটকে অবরোধ করেন। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তবে পুলিশ সবকিছু দেখেও যেন চুপ! ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে পুলিশ মামলা রুজু করতে বলে। তার আগে অবশ্য বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার শর্ত দেয় পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,” যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক। এছাড়াও তিনি জানান এলাকায় স্বাভাবিকতা বজায় রেখে পুলিশি পদক্ষেপ নিন এবং এরই সাথে এই আন্দোলনের ফলে যাতে কোনরকম যানজট সৃষ্টি না হয় অথবা যান চলাচলের পরিষেবা বন্ধ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে।”
এই পোস্টের সাথে তিনি এই হামলার ভিডিও ফুটেজ সহ ছবিও পোস্ট করেন। তার পোস্ট করা সেই সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে যে একদল হামলাকারী পরিকল্পনা মাফিক মন্দিরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এই হামলাকারী কারা এবং তারা যে কী উদ্দেশে এমন ধিক্কার জনক ঘটনা বারংবার ঘটাচ্ছে তা বুঝতে আর কারোরই বাকি নেই। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা তার পোস্টে হাওড়ার আইপিএস প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী সহ, কমিশনার এবং ডিজিপি কে এই ঘটনার যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করার আর্জি জানান। এবং এরই সঙ্গে অবিলম্বে এই হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য হাওড়া সহ পশ্চিমবঙ্গের নানান প্রান্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পরপর মন্দির ভাঙার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এসব ক্ষেত্রে লঘু ধারা প্রয়োগের অভিযোগ উঠছে। ফলে দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়ে যায়। অভিযোগ ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে হামলাকারীদের বাঁচাবার চেষ্টা করছে প্রশাসন। বিশেষ করে হাওড়ায় কয়েক বছর আগে স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ ও নবী দিবস চালু করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছিল। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময়ও দুষ্কৃতীরা মন্দির ভাঙচুর করে।
ফের শবে বারাতের মিছিল থেকে হামলা করে বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় মৌলবাদী দুষ্কৃতীরা তাঁদের ঔদ্ধত্যের পরিচয় দিল। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ আছড়ে পড়ছে। তবে পুলিশ এবিষয়ে কতোটা সক্রিয় থাকবে বা হামলাকারীদের আদেও খুঁজে বের করে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।