High Court On Sheikh Sahajahan: হাইকোর্টের বিরুদ্ধে মিথ্যে দাবি! শাহজাহানকে গ্রেফতারে নেই কোনো বাঁধা-অভিষেকের দাবি উড়িয়ে জানালেন বিচারপতি
নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রসঙ্গে সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল মাথা শেখ শাহাজাহান। সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্যের পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবার এমন কথাই জানালেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। রবিবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘শেখ শাহাজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে রাজ্যের হাত বেঁধে রেখেছে বিচার ব্যবস্থা’। তবে সোমবার হাই কোর্টের তরফ থেকে অভিষেকের সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারির ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। পাশাপাশি সন্দেশখালি মামলায় শেখ শাহজাহানকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, ৫২ দিন পেরলেও এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। তাঁর গ্রেপ্তারির দাবিতে ফুঁসছে সন্দেশখালির মহিলা সহ সকলেই। বিরোধীরা বারবার কাঠগড়ায় তুলছে শাসকদলকে। দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলই আড়াল করছে শাহজাহানকে। এর উত্তরে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে রবিবার পালটা জবাব দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেখ শাহজাহানের গ্রেপ্তারি নিয়ে রবিবার হাই কোর্টকেই দায়ী করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন হাই কোর্টের নির্দেশের কারণেই নাকি রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না শাহজাহানকে। এরই সঙ্গে দাবি করেছিলেন,তৃণমূল নয়, শাহজাহানকে আড়াল করছে বিচারব্যবস্থাই। সোমবার অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রায় শুনে অভিষেকের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সোমবার কুনাল ঘোষ বলেন, শেখ শাজাহান গ্রেপ্তার নিয়ে অভিষেক সঠিক বলেছিলেন। আদালতের আইনি জটেই বিষয়টা আটকে ছিল। তার সুযোগে রাজনীতি করছিল বিরোধীরা। আজ হাইকোর্ট সেই জট খুলে পুলিশকে পদক্ষেপে অনুমোদন দেওয়ায় ধন্যবাদ। সাত দিনের মধ্যে শাজাহান গ্রেপ্তার হবে।
সোমবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘স্পষ্ট ভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিস জারি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী ৪ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। এরপর বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে। ৫৩ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি আজও অধরা।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে ঠিক হয়েছিল, ধাপে ধাপে জেলা তৃণমূলের নেতারা সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার মানুষ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে আসবেন। ৩ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে সন্দেশখালিতে একটি বড় সমাবেশ করা হবে। সেই সভা থেকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সন্দেশখালির সাধারণ মানুষকেও ‘বার্তা’ দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছিল। কিন্তু রবিবারের পর সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আপাতত ৩ মার্চ, রবিবার সেখানে ব্রিগেডের ‘প্রস্তুতি সমাবেশ’ করবে তৃণমূল।