নিউজ ডেস্ক: মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাই
কোর্ট। ব্যাস তহখানায় হিন্দুদের পুজাপাঠ বন্ধের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিল মসজিদ কমিটি।
সোমবার বিচারক রোহিত রঞ্জন অগরওয়াল কমিটির আবেদন খারিজ করে দেন।
ব্যাস তহখানায় ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ব্যাস পরিবার পুজাপাঠ করে আসছিল।
মুলায়ম সরকার রাতারাতি কোন পক্ষের কথা না শুনে একতরফা নির্দেশ জারি করে তা বন্ধ করে
দেয়। ব্যাপক ক্ষোভের মাঝেও মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কের
কথা মাথায় রেখে সংখ্যাগুরু হিন্দুদের আবেগের কথা ভাবে নি সমাজবাদী সরকার। সম্প্রতি আর্জিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জ্ঞানব্যাপী মামলায়
তাঁদের সার্ভে রিপোর্ট জনসমক্ষে আনে। এই রিপোর্টে জানানো হয় মন্দিরের ছত্রে ছত্রে রয়েছে
প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের চিহ্ন। যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় হিন্দু মন্দিরের কঙ্কালের
উপর যেন দাঁড়িয়ে আছে মসজিদ।
ঐতিহাসিকরা আগেই জানিয়েছিলেন আক্রমণকারী বাবরের বংশধর মোগল শাসক
ঔরংজেব মন্দিরে ধ্বংস করে মসজিদ নির্মণ করার ফরমান জারি করেছিলেন। ঐতিহাসিক মীনাক্ষী
জৈন তার বই “ফ্লাইট অফ ডেইটিস” এ এবিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন কিভাবে জৌতির্লিঙ্গ মন্দির
ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি করা হয়। মামলা এলাহাবাদ আদালতে গেলে বিচারক এএসআইকে সার্ভে করার নির্দেশ
দেন। এর পর এএসআই সার্ভে করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়। ব্যাস তেহখানায় পুজোর অনুমতি
চাওয়ার পর খুলে দেওয়া হয় সেই তেহখানা। এবার ব্যাস তেহখানায় পুজো বন্ধের মামলা খারিজ
হয়ে যাওয়ায় আদালতে ফের হার হল মসজিদ কমিটির।