নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এবার গ্রেফতার ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টা নাগাদ সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন নওশাদ। কিন্তু সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ৬২ কিমি আগেই সায়েন্স সিটির কাছে বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। গ্রেফতারির পর প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয় নওশাদকে।
পুলিশের দাবি, ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করার অভিযোগে নওশাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক। তার পাল্টা দাবি, তিনি কোথাও জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেননি। এমনকি পুলিশের ব্যারিকেডও ভাঙেননি তিনি। তা হলে কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হল, সেই প্রশ্নই পুলিশকে করেছিলেন নওশাদ। বিধায়কের আরও অভিযোগ, সায়েন্স সিটির কাছে ১৪৪ ধারা জারি না থাকলেও সেখানেই তাঁকে গ্রেফতারের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গ্রেফতারির পরেই উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নওশাদ। তাঁর এই গ্রেফতারিতে পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে বলেও তোপ দেগেছেন বিধায়ক।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে সন্দেশখালির পাশাপাশি বাসন্তী যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সায়েন্স সিটির কাছে তিনি পৌঁছনোর পর সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। তার পরেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়, নওশাদ সন্দেশখালি গেলে সমস্যা হতে পারে। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নওশাদ সিদ্দিকে গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রা রাজ্য রাজনীতিতে। পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিরোধিরা।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি যাওয়ার পথে এর আগে বারংবার বাঁধা পেয়েছে বিরোধী দলের নেতা মন্ত্রীরা। বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী হোক বা সিপিএম এর বৃন্দা কারাট সন্দেশখালি যাবার পথে সবাই বাঁধা পেয়েছেন কিন্তু তৃণমূলের নেতা দের ক্ষেত্রে সেখানে প্রবেশে কোনো বাঁধা নেই। মঙ্গলবার নওশাদের গ্রেফতারের পর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরও জোরালো হচ্ছে রাজনৈতিক তরজা।