নিউজ ডেস্ক: জল সঙ্কটে ভুগছে রাজ্য। কলকাতা সহ আসে পাশের একাধিক জেলায় গরম আসার আগেই জল সঙ্কটে ভুগছে এলাকাবাসী। শহরে পরিস্রুত পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে তৈরি হয়েছে একের পর এক বুস্টার পাম্পিং স্টেশন। কিন্তু অভিযোগ একটাই, বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরেও শহরে পানীয় জলের চাহিদা মিটছে না। গরম পড়তে শুরু করতে না করতেই শহরের সংযুক্ত এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
গরম কাল এলেই কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় মাথাচাড়া দেয় পানীয় জলের সমস্যা। কোথাও সরু হয়ে জল পড়ে। কোথাও আবার জল বিশেষ পড়ে না। এমনকী টাইম কলের সময়সীমাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। দিনের পর দিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকছে। কলকাতার সল্টলেক সহ বেশ কিছু এলাকায় জলের চাহিদা পূরণ হয়না, এমনকি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশেও পানীয় জলের সঙ্কটে ভুগছে মানুষ।
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর অঞ্চলের তিলপি, শ্যামনগর, গোবিন্দপুর, চন্দনেশ্বর সহ একাধিক গ্রামে গরম পড়তে না পড়তেই দেখা দিয়েছে তীব্র জলের সঙ্কট। গত কয়েক দিন ধরে নলকূপ থেকে জল পড়া পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। নলকূপের জল না পেয়ে বাধ্য হয়ে পুকুরের জলে রান্না করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এইসব গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে পুকুরের জলও শুকোতে শুরু করেছে। ফলে সবমিলিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন সুন্দরবনের নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে শহরে ৭২টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। আরও ১৫টি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হওয়ার পথে। তবু তা গরমকালের প্রবল জলের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না। জানা গেছে টালিগঞ্জ, কসবা, যাদবপুরের একাংশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে দিনে দিনে কলকাতায় জনসংখ্যা বাড়লেও মানুষের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে পারছেনা টালা ট্যাঙ্ক।
উল্লেখ্য সামনেই লোকসভা ভোট, তাই তার আগে শহরবাসীর জলকষ্ট মেটাতে ৩ টি জল প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪ টি জল প্রকল্পের শিলান্যাস করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
তবে এই প্রকল্প গুলি কবে কার্যকর হবে বা আদেও হবে কিনা সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গরম প্রায় এসেই গেছে এর মধ্যে প্রকল্প গুলি কার্যকরী না হলে জল সঙ্কটে কিভাবে মকাবিলা করবে কলকাতাবাসী এখন সেই চিন্তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছে তাদের।