নিউজ ডেস্ক: মমতা বললেন ২১ লাখ। অভিষেকের বক্তব্য পেরোল ৬৮ লাখ। তাহলে কী জব কার্ডের আড়ালে ভোটারদের ভোট কেনার ফন্দি! প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। রাজ্যে চলছে একের পর এক দুর্নীতি। রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের মজুরি প্রদানের জন্য বাজেটে ৩৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। ২১ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডারদের কথা এর আগেও প্রসঙ্গে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে আবার অভিষেক বন্ধ্যোপাধ্যায় মুখে শোনা গেল অন্য হিসেব। তিনি বলেছিলেন রাজ্যে ৬৮ লক্ষ জব হোল্ডার রয়েছেন। ফলে শাসক দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে দুরকম হিসেবে প্রশ্ন উঠছে, বাড়ছে জল্পনাও।
কলকাতায় ধরনা মঞ্চ থেকে একশো দিনের প্রাপকদের টাকা মেটানোর ব্যাপারে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই সরকারি ভাবে একশো দিনের কাজের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিছুদিনের মধ্যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টাকা ফেরতের ব্যাপারে জানানো হয়। এরপরেই জেলায় জেলায় শুরু করা হয় প্রাপকদের নথি যাচাইয়ের কাজ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, রাজ্যের ২১ লাখ ৪০ হাজার জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা মেটাতে হবে রাজ্যকে। তবে সেই সংখ্যাটা বেড়ে নাকি হয়েছে ৬৮ লাখ।
প্রসঙ্গত ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিতদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর বিষয়ে দুর্নীতি হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেই একাধিক কেন্দ্রীয় স্কিমের টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। বারবার বকেয়া টাকার দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ধর্না দিয়ে, বৈঠকে বসেও পাওনা আদায় হয়নি। কেন্দ্রের দাবি, ভুয়ো জব কার্ডধারীর সংখ্যা রাজ্যে অনেক।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, জব কার্ড হোল্ডারদের টাকা মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে।
পাশাপাশি, নতুন অর্থ বর্ষের বাজেটে একশো দিনের কাজের বদলে ৫০ দিনের কাজের একটি নতুন প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এই টাকা কোথা থেকে আসবে সে কথা স্পষ্ট জানাননি মুখ্যমন্ত্রী। অন্য কোনো প্রকল্পের টাকা এই খাতে ব্যবহার হচ্ছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন একশো দিনের বকেয়া টাকা কোন ফান্ড থেকে দেওয়া হচ্ছে এবং কাদের দেওয়া হচ্ছে।