নিউজ ডেস্ক: পুরাতন মালদহে আদিবাসী নাবালিকা ছাত্রীকে খুন কাণ্ডে ইতিমধ্যে পুলিশ দুই অভিযুক্তে গ্রেপ্তার করেছে। এবার সেই দোষীদের ফাঁসির দাবিতে আবারো আন্দোলনে নামলো আদিবাসী সংগঠন। বুধবার দুপুর একটা নাগাদ পুরাতন মালদহের ভাবুক অঞ্চলের খিজুরিয়া গ্রাম থেকে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের কর্মী সমর্থকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
এই মিছিলে পায়ে পা মেলান আদিবাসী সংগঠনের কয়েকশো কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি আদিবাসী নাবালিকাকে যারা যারা নিশংসভাবে খুন করেছে তাদের আমরা ফাঁসের দাবি করছি। এই ঘটনায় আপাতত দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ তবে দুজনকে গ্রেফতার করলে হবেনা এর পেছনে আরো অনেকেও জড়িত রয়েছে বলে অনুমান আদিবাসী সংগঠনের। তাই আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সকল নেতাকর্মী ও কর্মী সমর্থকরা দোষীদের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় তার জন্য পুনরায় বিক্ষোভ আন্দোলনের নেমেছে।
এ প্রসঙ্গে আদিবাসী সংগঠনের ব্লক সভাপতি অনিল টুডু জানান, “শুধু দুজনকে গ্রেফতার করলে হবে না যারা প্রকৃত অভিযুক্ত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে আমাদের অনুমান এর পেছনে আরো অনেকেও জড়িত রয়েছে। আজকে খেজুরিয়া গ্রাম থেকে আমাদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে এই মিছিল মিশন রোড জাতীয় সড়ক হয়ে শেষ হবে পুরাতন মালদহের আট মাইল এলাকায়।”
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদহের ব্লকের ভাবুক অঞ্চলের বিষনপুর গ্রামে নবম শ্রেণীর আদিবাসী ছাত্রী কে খুন করার অভিযোগে জিতু মুর্মুকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মালদা থানার পুলিশ অভিযুক্ত আসামিকে হেফাজতে নেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো এক দুষ্কৃতীর খোঁজ পাই। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মালদা থানার পুলিশ বুধবার রাত্রেই বিষনপুরের পাশের গ্রাম শ্রীরামপুর থেকে জুয়েল মার্ডি নামে আরেক অভিযুক্তে গ্রেফতার করে অভিযুক্তকে আদালতে তোলে। জানা গেছে আদালতে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত জুয়েল মার্ডি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং জানায় প্রচন্ড নেশা করে এই কুকর্ম করে ফেলেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জুয়েল মার্ডিকে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়েছে।