নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সন্দেশখালি কান্ডে বিজেপির ধর্নায় অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। শর্ত মেনে করতে হবে ধর্না জানিয়েদিল হাইকোর্ট। আদালতের ছাড় মিলতেই শর্ত মেনে বুধবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে মেয়ো রোডে ধর্নায় বসে বিজেপি। বুধবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি শর্ত দেন, ১৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবেনা। ব্যবহার করা যাবে না কোনও মাইক। সন্দেশখালিকাণ্ডে এই শর্তসাপেক্ষে বিজেপিকে ধরনার অনুমতি দিল হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে বিচারপতি কৌশক চন্দের মন্তব্য, ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং ধরনার অধিকার সকলের আছে। গ্রহণযোগ্য বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে’।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না করতে চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু পুলিশ প্রথমে এই ধর্নায় অনুমতি দেয়নি। পুলিশি অনুমতিতে বাঁধা পেয়ে এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার সেই মামলায় আদালত বিজেপিকে শর্তসাপেক্ষে ধর্না করার অনুমতি দিয়েছে।
তবে বিজেপি তিন দিনের কর্মসূচি করতে চাইলেও আদালত জানিয়েছে, বুধ ও বৃহস্পতিবার এই ধর্না চলবে। ধর্নার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সকাল ১০টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। লাইডস্পিকার বাজানোয় থাকছে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া ধর্নামঞ্চে ১৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবেনা বলে জানিয়েছে আদালত। এর পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচি করতে হবে।
উল্লেখ্য কদিন আগেই মাধ্যমিক পরিক্ষা চলাকালীন ১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্না কর্মসূচি ছিল দুদিনের। তবে সন্দেশখালি কাণ্ডে শাহাজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি যখন ধর্নায় বসতে চাইছে তখন অনুমতি দিচ্ছেনা পুলিশ। গেরুয়া শিবিরের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে ধর্নার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। বিজেপির যুক্তি, যেখানে ধর্না কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেখানে কাছাকাছি কোনও স্কুল নেই। ফোর্ট উইলিয়ামের ভিতরে স্কুল আছে কিন্তু সেটা সংরক্ষিত এলাকায়। ফলে কোনও ছাত্র-ছাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তবুও অনুমতি মিলছে না। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের একবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। যদিও শেষ অব্দি শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।