নিউজ ডেস্ক: বন্ধের পথে দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘদিন ধরে নেই উপাচার্য -অধ্যাপক,এমনকি নেই শিক্ষাকর্মীও। থাকার মধ্যে আছে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন। এমনই বেহাল দশা দার্জিলিং হিল ইউনিভার্সিটির। এমনিতেই এ বছর নতুন পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া হয়নি। অন লাইনে যেটুকু ক্লাস চলছিল, তা বন্ধ হয়ে গেল।
১০ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম এবং তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষার কথা ছিল। তা-ও হল না। তাতে ওই পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকের তরফে।
জানা গেছে,ঠিক মত পারিশ্রমিক মেলেনি শিক্ষকদের ,তার জেরেই শিক্ষকরা ‘অনলাইন’ ক্লাসও বন্ধ করে দিয়েছেন। সুতরাং এখানে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে পড়ায় শিক্ষা শিকেয় উঠেছে। ফলত এখানে পাঠরত পড়ুয়ারাও কোনও রকম ক্লাস না করতে পেরে কার্যত দিশাহীন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজ্যপালের দফতরেও খবর জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে মুখ্য সচিবের দফতর থেকে শুরু করে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) কর্তৃপক্ষকেও। পড়ুয়াদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাজ্যপাল, উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠানো হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনো জবাব মেলেলি। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে পড়ুয়াদের মধ্যে।
অবিলম্বে দার্জিলিং হিল ইউনিভার্সিটি পুরোদমে চালু করার দাবিতে সম্প্রতি বিক্ষোভে শামিল হয় ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা। ইউনিভার্সিটি চালু সহ ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকা অনলাইন ক্লাস পুনরায় শুরু করার দাবিতে মংপুতে হিল ইউনিভার্সিটি ভবনের সামনে বিক্ষোভে নামে পড়ুয়ারা।
উল্লেখ্য গত জুন মাসে অস্থায়ী উপাচার্য প্রেম পোদ্দারের মেয়াদ ফুরনোর পর থেকেই কার্যত ‘অভিভাবকহীন’ হয়ে পড়ে দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে বন্ধের মুখে এগিয়ে যায় দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়।