৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতারের পরেও সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহানকে
নিয়ে নাটকের শেষ নেই। হঠাতই উধাও শেখ শাহজাহান। কোথাও যেন হারিয়ে গেলেন। কিভাবে পুলিশের
ঘেরা টোপ থেকে পালিয়ে গেল শাহজাহান তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। আদালত থেকে পুলিশের
কনভয় বের হওয়ার পর রেললাইনের কাছে পুলিশের কনভয়ে ঢুকে পরে একটি অন্য গাড়ি। সূত্রের খবর পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে শাহজাহান। মিডিয়া আটকাতে গোটা পর্ব সাজানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
তবে এবিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শেখ
শাহজাহান ইডির হাতে এলে শাসকের অনেক অসুবিধে। তাই মনে হয় ওকে সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত
হচ্ছে। তবে এখনও দেখতে হবে বিষয়টি কোন দিকে যায়”।
বৃহস্পতিবার ছিল রাজ্যপালের দেওয়া ডেডলাইনের
শেষ দিন। তার দেওয়া ডেডলাইনের শেষ দিনের আগেই তাকে ধরে ফেলল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ সূত্রে খবর শাহজাহানকে
গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মিনাখা অঞ্চল থেকে। অর্থাৎ শাহজাহান ছিলেন তার এলাকাতেই। তা
সত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করতে লেগে গেল ৫৬ দিন।
দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে
শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সন্তোষ প্রকাশ করেন
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বাস। তিনি বলেন,“সুরঙ্গ শেষে আলোর রেখা। এটাই
গণতন্ত্রের রূপ। প্রত্যেকের জন্য এটা শিক্ষা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে”।
অন্যদিকে শেখ শাহজানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে
প্রতিক্রিয়া এসেছে বামেদের তরফ থেকেও। এ বিষয়ে
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শেখ শাহজাহান গ্রেপ্তার
হয়েছে, নাকি তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আইনের ভাষায় যাকে বলে শোন এরেস্ট। চাপের মুখে
পুলিশ সন্দেশখালির বেতার বাদশা শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার
দেখাতে বাধ্য হল। তবে সন্দেশখালি নাকি মিনাখা, কোন জায়গা থেকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তার পাশে
ছিলেন। তবে মানুষেরব চাপে পোড়ে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।