নিউজ ডেস্ক: চোলাই মদের অভিযানে এসে এক আদিবাসী মহিলাকে ব্যাপক মারধোরের অভিযোগ উঠলো আবগারি দপ্তরের পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আবগারি পুলিশ আধিকারিকদের আটকে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে আদিবাসীদের। ইতিমধ্যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকের যাত্রাডাঙ্গা অঞ্চলের হাটগাছি রাইলাপাড়া এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে মালদা থানার পুলিশ গ্রামে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ঘটনার প্রসঙ্গে জানা গেছে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিগত সাত দিন ধরে গ্রামের মধ্যে বাদনা পরব চলছিল। তবে তাদের রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী চোলাই মদের প্রচলন রয়েছে এই অনুষ্ঠানে। সেই মোতাবেক আদিবাসীরা প্রত্যেকে বাড়িতে বাড়িতে চোলাই মদ তৈরি করে থাকেন।
জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই সাতটি গাড়ি করে আবগারি দপ্তরের পুলিশ আধিকারিকেরা গ্রামে ঢুকে প্রথমেই চোলাই মদের হাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে। গ্রামের মানুষজন বাধা দিতে গেলে তাদের উপর পাল্টা চড়াও হয় আবগারি দপ্তরের কর্মীরা। এমনকি লাঠিপেটা মারধর সহ হেনস্থা করা হয় এক আদিবাসী মহিলাকে। এরপর আদিবাসী মহিলার কাছ থেকে টাকা পয়সা চাওয়া হয়। টাকা দিতে না পারায় পাল্টা মার, এবং মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। ফলে ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই আদিবাসী মহিলা। এরপরেই আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই মহিলাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষিপ্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষজন জমায়েত হয়। এরপর সঠিক বিচারের দাবিতে আবগারি দপ্তরের আধিকারিকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে তারা। এমনকি রাস্তায় বেরিক্যাট করে পুলিশের গাড়ি আটকে রাখে।