পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের পর কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতার মন্তব্য“পাকিস্তান
বিজেপির শত্রু হতে পারে আমাদের (কংগ্রেসের) নয়। এই মন্তব্য করেছেন
কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা বি কে হরিপ্রসাদ। তিনি বুধবার বলেন,“পাকিস্তান বিজেপির জন্য শত্রু হতে পারে, আমাদের জন্য নয়। কংগ্রেস শুধু পাকিস্তানকে
প্রতিবেশী দেশ বলে মনে করে। তার এই মন্তব্যের পরেই নিন্দার
ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে।
কর্ণাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অরবিন্দ বেলাড এই মন্তব্য কে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন,“এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক হরিপ্রসাদের মতন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা এই ধরনের মন্তব্য
করেছেন। সকলেই জানে পাকিস্তান অতীতে ভারতের সঙ্গে কি করছে বা
এখনও কি করে চলেছে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার মুখে এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায় না।
কংগ্রেসের কোন বড় নেতাই এখনো অব্দি এই মন্তব্যের নিন্দা করেন নি। ফলে বোঝাই যায় হরিপ্রসাদের বক্তব্যই কংগ্রেসের বক্তব্য”।
প্রসঙ্গত কর্ণাটক থেকে
কংগ্রেসের রাজ্য সভার প্রার্থী সৈয়দ নাসির হোসেন জেতার পরই অভিযোগ ওঠে তার
সমর্থকরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিয়েছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই বি কে হরিপ্রসাদের এই মন্তব্যে কংগ্রেস বেশ বিপাকে পড়েছে। যে দেশ দেশ পাঁচ বার ভারতের উপর আক্রমণ করে যুদ্ধ করেছে। যে দেশে জঙ্গী পাঠিয়ে ভারতের বীর সেনা থেকে নিরীহ মানুষকাউকে রেয়াত করে না। তাকে শত্রু বলতেও নারাজ কংগ্রেসের নেতা। এমনকি তাদের জয়ের পরে সেই
দেশের নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠছে। চাপে পড়ে
কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এইচ মনিয়াপ্পা বলেন,“পাকিস্তানের নামে জয়ধ্বনি দেওয়ার বিষয়ে এফআইআর
করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। যদিও এখন অব্দি এই তদন্তের
অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। তার মাঝেই হরিপ্রসাদের মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝড় উঠেছে। অন্যদিকে এদিন কর্ণাটক
সরকারের এক বিজ্ঞাপন ঘিরেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞাপনে চিনের প্রতি সহমর্মিতা জানানো
হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।