নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও পর্যন্ত ঘোষণা হয়নি। কিন্তু, তার আগেই হুংকার দিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ সৃষ্টি করলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্য জনসভা থেকে বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডল। ভোট না দিলে, ভোটে বেইমানি করলে বা দলের নামে অপপ্রচার করলে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
২০১১ সাল থেকেই ভোটে হিংসার ছবি দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে বাংলা। ভোটের সঙ্গে হিংসার নাম অতোপ্রত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পুরসভা, বিধানসভা, লোকসভা কোনও ভোটেই বাদ যায়নি হিংসা। মনোনয়ন জমার দিন থেকেই হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। এবারও তার অন্যথা হলনা।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডল বলেন,”আমাদের নেত্রীর দেওয়া ভাতা নেবে, সাইকেল নেবে, রেশনের চাল খাবে। আর আমাদের বদনাম করলে শুনব না। তা হলে হাত কেটে নেওয়া হবে! পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভা, সব জায়গায় আমরা আছি। ওরা ঢোল পাততেই পারবে না।’’ এখানেই শেষ নয়। জটিলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘ওদের বলে দিতে হবে, ভোটের দিনে যেন বাড়ি থেকে না-বেরোয়। ভদ্র ভাবে শুনলে ভাল। না হলে ডাঙ (ডান্ডা) পেটা করে পেটাতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ওদের বাপের বন্ধু নয়। ভোট পেরোলেই চলে যাবে। তখন কী হবে? এখনই ওদের হুমকি দিয়ে দিতে হবে। তাতে থানা-পুলিশ হলে আমরা দেখে নেব। কেস করতেই দেব না!’’
জটিল মণ্ডল ময়ূরেশ্বর দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। ময়ূরেশ্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন জটিল মণ্ডল। যা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ প্রসঙ্গে,তৃণমূল নেতা জটিলেশ্বর মণ্ডলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের কাছে জটিলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা বিজেপির পক্ষ থেকেও ময়ূরেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও জটিলেশ্বর ওই ধরনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।