শেখ শাহজাহানকে দুষ্কৃতী বললেন তৃণমূলের সাংসদ কাকলী ঘোষ
দস্তিদার। বৃহস্পতিবার দেশবন্ধু পার্কে দলীয় সভা থেকে দুষ্কৃতী বলে সম্বোধন করার পাশাপাশি
তাঁকে ধরার জন্য পুলিশের প্রশংসা করেন তিনি।
এদিন দলীয় মঞ্চ থেকে বারাসতের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার বলেন,
“কেন দুষ্কৃতীকে ধরা যায়নি এটা আপনাদের জানতে হবে। তা সকলের সামনে এনেছেন আপনাদের নেতা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ ওকে ধরতে পারেনি কারণ আদালর নির্দেশ ছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
এই নির্দেশকে খোলসা এবং চ্যালঞ্জ করেছেন। আদালত যখন খোলসা করে বলে দিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
ওকে ধরতে পারবে। তিন দিনের মধ্যে ওকে ধরে নিয়ে আসা হল।
তবে শেখ শাহজাহানকে দুষ্কৃতী বলার পিছনেও দলের গোষ্ঠীকোন্দল
রয়েছে বলে মনে করছে দলেরই একাংশ। একই মত বিজেপি নেতাদেরও। কারণ শেখ শাহজাহান ছিলেন
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুগামী। দলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছিলেন কাকলী ঘোষ দস্তিদারের
বিরোধী বলে পরিচিত। উত্তর চব্বিশ পরগণার রাজনৈতিক সমীকরণে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বেশিরভাগ
অনুগামীরা এখন কোণঠাসা। অনেকে আবার শিবির বদল করতে বাধ্য হয়েছেন।
২০১৯ সালে লোকসভার ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন তিন বিজেপি
কর্মী। সেই এফআইআরে নাম ছিল সন্দেশখালির বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহানের। তবে চার্জশিটে
তার নাম বাদ দিয়ে দেয় পুলিশ। এমনকি অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
পরে অবশ্য ছেড়ে দেয়। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি তৎকালীন দাপুটে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়
মল্লিকের ধমক খেয়ে পুলিশ ছেড়ে দেয় শাহজাহানকে। এই অঞ্চলের ভেড়ির টাকা শাসকদলের পকেটেও
ঢোকে বলে অভিযোগ। ভেড়ির কারিগররা ছিলেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়
মল্লিকের অনুগামী। এখন বালু ওরফে জ্যোতিপ্রিয় জেলে চলে যাওয়ায় দলের অন্দরে কাকলী ঘোষ
দস্তিদারের পথ অনেকটাই নিষ্কণ্টক বলে মনে করা হচ্ছে।