নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারই দুদিনের বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে আসছেন। শুক্রবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন বিচারবিভাগীয় ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তবে এর খানিক পরেই ১০টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ৷
উল্লেখ্য শুক্রবার বিকেলেই বাংলায় এসে আরামবাগে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে মোদীর জনসভার মধ্য দিয়ে বাংলায় বিজেপির ভোট প্রচার শুরু করবেন তিনি ৷
বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে ঝাড়খণ্ডের সিনড্রিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি ৷ ঝাড়খন্ডের ধানবাদে ৩৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। এসব প্রকল্প সার শিল্প, রেলপথ, বিদ্যুৎ ও কয়লা খাতের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানা গেছে।
এরপর ফের বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করেই ঝাড়খন্ডের সিন্দ্রি থেকে ধানবাদ হয়ে হুগলির আরামবাগে জনসভায় যোগ দেবেন ৷
প্রধানমন্ত্রী সভা করবেন আরামবাগের কালীপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে। তাই এক দিন আগেই গোটা চত্বর কার্যত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে এসপিজি-র (special protection group) আধিকারিকেরা। সভাস্থলের কাছে কার্যত কাউকে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। মাঠ জুড়ে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা রয়েছে। মঞ্চ-সহ মাঠের প্রায় ১৬ বিঘা এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। সার্বিক নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে মাঠ জুড়ে তল্লাশি চলে মেটাল ডিটেক্টর ও প্রশিক্ষিত তিনটি পুলিশ-কুকুর নিয়ে। ৷ এদিনের সভার জন্য তিনটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে ৷ হেলিপ্যাডে নেমে সেখান থেকে দশর্কদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে মঞ্চে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত,মোদীর সভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আরামবাগের দিকে রওনা দিয়েছেন ৷ ইতিমধ্যেই আরামবাগে পৌঁছেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বরা।