শেষ কয়েক দিন ধরে একের পর এক বোমা
ফাটাচ্ছেন শিশির অধিকারী। থামার ইঙ্গিত নেই। মমতা থেকে কুণাল তৃণমূলের অনেককেই রেয়াত
করেননি তিনি। শনিবার বিস্ফোরক শিশির অধিকারী। বললেন, “এমন চোর জোচ্চোরের সরকার দেখিনি। যে ব্রাহ্মণের চাল
কলা সম্বল ছিল। তাঁদের এখন হাজার হাজার কোটি টাকা। বাথরুমে
গেলেও অনেকে হেলিকপ্টার চড়ে যান”। চাকরি, রেশন দুর্নীতি নিয়েও তোপ শিশিরের।
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
কটাক্ষ করেছিলেন শিশির। বলেছিলেন, “উনি নন্দীগ্রাম চিনতেন না। কোলাঘাট থেকে ঘুরে চলে
যেতেন। আমরাই হাতে ধরে নন্দীগ্রামে এনেছিলাম। আমাদের দাক্ষিণ্যে দল পুষ্ট হয়েছে। এখন
আমাদের দল দয়া করেছে বলে দাবি করছে কেউ কেউ। নন্দীগ্রাম না হলে উনি গদি পেতেন না”।
এরই মাঝে অধিকারী পরিবারের আরও
এক সদস্য বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। দিবেন্দ্যু অধিকারী
৭ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এবিষয়ে শিশির অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হলে তিনি বলেন, “ছেলেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। এবিষয়ে আমার কিছু বলার নেই” অন্যদিকে
রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারী কি এবার প্রার্থী হবেন? এক্ষেত্রেও তার জবাব, “ছেলেরাই ঠিক
করবে”।
প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের
যোগ্য উত্তরাধিকারী বলে মনে করেন শিশির বাবু। তার বিরোধী দলনেতা হিসেবে কর্তব্যকেও
যথেষ্ট পছন্দের তালিকায় রেখেছেন শিশির বাবু। বয়সজনিত কারণে এখন অনেকটা সময় ঘরেই কাটে
তার। তবে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার এখন ইচ্ছে নেই এমনই ইঙ্গিত তাঁর। সাধারনত ব্যক্তিগত
আক্রমণ থেকে দুরেই থাকেন শিশির। তা সত্বেও তৃণমূল নেতা কর্মীদের একাংশ তাঁকে অতীতে
ব্যক্তিগত এবং কুরুচিরকর মন্তব্য করেছেন। বিরোধী দলনেতাকে একই আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে।
তা সত্বেও খুব একটা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে লোকসভা নির্বাচনের
আগে ফের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যেতে পারে গোটা অধিকারী পরিবারকে।