নিউজ ডেস্ক: আবারও ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বসিরহাটে। বাম যুব সংগঠন DYFI-এর বসিরহাটে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধল। শনিবার বসিরহাট টাউন হল থেকে DYFI-এর মিছিল রওনা দেয় এসপি অফিসের দিকে। কিন্তু মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এরপর লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এরপরেই একেবারে হুলস্থুল বেঁধে যায় এলাকায়।
উল্লেখ্য,সন্দেশখালি সহ একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত বাংলা। আর এই সমস্ত ইস্যুকে সামনে রেখেই শনিবার বসিরহাট এসপি অফিস অভিযানের ডাক দেয় DYFI। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।
পুলিশের লাঠি চার্চের পরেই পুলিশের ব্যারিকেডের প্রাচীর ভেঙে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জির নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে DYFI-এর মিছিল। প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা। যার ফলে বসিরহাট তেঁতলিয়া সহ গোটা রাস্তা জুড়ে তুমুল যানজট তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মীনাক্ষী বলেন, বসিরহাটের পুলিশ শাহজাহানকে জামাই আদর করে রাখে। মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে থানায় বসে থাকে। আর আমাদের আটকাচ্ছে। শাহজাহানকে ভিতরে যেতে হয়েছে। এর হিসেব নেবে জনতা।
প্রসঙ্গত, সংগঠনের কাজে জলপাইগুড়ির লাটাগুড়িতে ছিলেন মিনাক্ষী। শুক্রবার রাতে সেখান থেকে ট্রেনে রওনা দেন তিনি। ভোরে কলকাতা পৌঁছে সরাসরি বসিরহাট রওনা দেন। পুলিশের বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করছিলেন মিনাক্ষীরা। যদিও কিছুক্ষণ পর পুলিশের তরফ থেকে তাঁদের পাঁচ জনকে পুলিশ সুপারের কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। জানানো হয়, সর্বাধিক পাঁচ জন গিয়ে পুলিশ সুপারকে ডেপুটেশন জমা দিতে পারবেন।