নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই গোটা বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহে রাজ্যে পা রেখেছে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সোমবার সকালে আলোচনায় বসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কলকাতায় ওই বৈঠক হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠক হবে। তারপর সকাল ১১.৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার ডিস্ট্রিক্ট ইলেকশন অফিসার, এসপি, সিপি, ডিভিশনাল কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করবে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেমন কাজ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। রবিবার দুটি দলে ভাগ হয়ে বাংলায় আসে তারা। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ আসেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা পৌঁছন দুপুরে। রাজ্যের স্বীকৃত ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। প্রত্যেকটি দলকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য ১৫ মিনিট করে সময় বরাদ্দ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ধর্মতলার একটি বেসরকারি হোটেলে এই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং সোশ্যাল মিডিয়া টিমের সদস্যরা।
সূত্র মারফত জানা গেছে, রবিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) আরিজ আফতাব এবং রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমারের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক করেছেন বেঞ্চের সদস্যরা। তবে ফুল বেঞ্চের মধ্যে একমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সেই বৈঠকে ছিলেন না। এদিন রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়েছে কমিশন। ভোটার তালিকা, বুথ প্রস্তুতি ও আদর্শ আচরণ বিধি নিয়ে কমিশনের যে নির্দেশিকাগুলি রয়েছে তার প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গে কেমন কাজ হয়েছে, ফুল বেঞ্চ প্রথমদিনই তার খতিয়ান নিয়েছে। এমনকী কমিশনের যাবতীয় নির্দেশ যে অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, সেটাও বেঞ্চের সদস্যদের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া রাজ্যে ইতিমধ্যেই চলে আসা ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং তাদের রুট মার্চের বিষয়েও রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসারের সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিরিখে এই বৈঠকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।