ঙ্গলবার সকালে চাকদা
থানার অন্তর্গত পাজির মোড় লালপুকুর, সাহেব পুকুর পাড়ে বোমা
ফেঁটে গুরুতর আহত এক শ্রমিক। আহত শ্রমিক আনুমানিক বছর ৪৫ এর শ্যামল সরকার।
চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
জানা যায় পাজির মোড় সংলগ্ন
লালপুরের সাহেব পুকুর পাড়ে মৌসুমী বিশ্বাসের জমিতে নির্মাণ কাজ
চলছিল। নির্মাণ কাজে মাটি খননের কাজ
করছিলেন চুয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে চার জন শ্রমিক। নির্মাণের কংক্রিটের পিলার করার
উদ্দেশ্যে মাটি খনন শুরু করেন ওই শ্রমিকেরা। বেশ কিছুটা মাটি খননের পর হঠাৎই মাটির
নিচে একটি ড্রাম দেখতে পান শ্যামল সরকার নামে এক শ্রমিকেরা। না বুঝে এরই মধ্যে
শ্যামল সরকার কোদাল দিয়ে বোমা মজুদ ওই ড্রামে কোপ মারেন। বুঝে ওঠার আগেই ফেঁটে
ওঠে চার চারটি বোমা। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। গুরুতর আহত হন শ্যামল সরকার নামে ওই
শ্রমিক। বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা
এলাকা। ছুটে আসেন আশেপাশের বাসিন্দারা। স্থানীয়রা দেখতে পান আহত ওই শ্রমিক
রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে আছে মাটির উপরে। ওই স্থানে কর্মরত অন্যান্য ঠিক
শ্রমিকেরা ও স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে শ্যামল সরকারকে আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি উদ্ধার
করে নিয়ে চায় চাকদা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তার
শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তড়িঘড়ি তাকে স্থানান্তর করা হয় কল্যাণী জহরলাল
নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাকদা থানার
পুলিশ। নির্বাচনের আগে চাকদায় এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে কে বা কারা? কি কারনে? কবে? এই বোমা মজুদ করেছে। যদিও ২০২৪ এর লোকসভা
নির্বাচন করা নাড়ছে দোরগোড়ায়। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক কোম্পানির জওয়ান
এসে পৌঁছেছে চাকদায়। শুরু হচ্ছে রুট মার্চ। মাঝেমধ্যেই চলছে চাকদার বিভিন্ন
এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি। তারই মধ্যে এই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় সাধারণ
মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে রীতিমতো উঠেছে প্রশ্ন?
এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। বোমা মজুদ
রাখার পেছনে শাসকের দিকেই আঙুল তুলেছে বিরোধীদল বিজেপি। তৃণমূলকে কাঠঘরায় দাঁড় করিয়েছেন চাকদা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম
ঘোষ। তাঁর দাবি, “ ভোটের আগে বোমা মজুত করতে শুরু করেছে শাসক দল। পুলিশের কেসের
ভয়ে ঝোঁপে ঝাড়ে অন্য লোকের জমিতে মজুত করা হচ্ছে বোমা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। চাকদা
শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দেব কৃষ্ণ মজুমদার বলেন, “চাকদা
শান্ত এলাকা। একটি ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তার
তদন্ত করছে। ভারতীয় জনতা পার্টির আর কাজ নেই। নির্বাচন এলেই যেকোনো ঘটনার সঙ্গে
তৃণমূলের নাম জড়িয়ে এলাকাকে অশান্ত করে তুলতে উদ্যোগী হয়ে পড়ে তারা”। ইতিমধ্যেই
ঘটনার তদন্তে শুরু করেছে চাকদা থানার পুলিশ।