ময়দানে নেমেই তৃণমূলকে চাঁছাছোলা আক্রমণ করলেন সদ্য প্রাক্তন
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলার জনগণকে তাঁর পরামর্শ “না বলতে
শিখুন। শিরদাঁড়া আপনার কাছেই আছে। খোঁজাখুঁজি করার প্রয়োজন নেই”।
মাত্র কয়েক ঘণ্টা হয়েছে
তিনি বিচারকের আসন ছেড়েছেন। তাঁর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ধেয়ে আসছে শাসক দলের তরফে একের
পর এক আক্রমণ। কিন্তু তাতে দমে যাওয়ার পাত্র যে তিনি নন প্রথম দিনেই বুঝিয়ে দিলেন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিচারব্যবস্থার এক অংশের কলঙ্ক বলে পাল্টা আক্রমণ করলেন। ২৬
অবধি এই দল থাকবে নাকি? তৃণমূলের অবস্থা ২০০৯ সালের সিপিএমের মত। এই ধরণের নিখাদ রাজনৈতিক
মন্তব্য করে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি কোমর বেঁধেই ময়দানে নেমেছেন।
তবে কেন তিনি বিজেপিতেই যোগদান করবেন এবিষয়ে তিনি পরিষ্কার ভাবে
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেনব। তিনি বলেছেন, “সিপিএম করব না কারণ আমি ভগবানে বিশ্বাসী।
ঈশ্বর বিশ্বাস ত্যাগ করতে পারব না। কংগ্রেস করব না ঠিক করেছি কারণ ওখানে পরিবারবাদ
আছে। তাই বিজেপি সবচেয়ে ভালো বিকল্প মনে হয়েছে রাজনীতির ময়দানে আসার জন্য।
বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জানালেন। তবে কোন আসন থেকে লড়বেন সে বিষয়ে
খোলসা করে কিছু বলেননি তিনি। ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে তাঁর আনুষ্ঠানিক
যোগদান। তমলুক আসন থেকে লড়তে পারেন এই জল্পনা রবিবার থেকেই রয়েছে। তবে সেই জল্পনায়
সিলমোহর কিংবা জলাঞ্জলি হবে দলের বাকি আসনে প্রার্থী ঘোষণার পরেই। তবে ওয়াকিবহাল মহলের
মত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি যখন আসন ত্যাগ করে ময়দানে নেমেছেন তখন সব বুঝে শুনেই
ময়দানে নেমেছেন।