মঙ্গলবার মেদিনীপুর কলেজ মাঠের সরকারি পরিষেবা
অনুষ্ঠান মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করার অভিযোগ উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিরুদ্ধে। রাজ্যে শেষ সপ্তাহে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সরকারি মঞ্চে রাজনীতি নিয়ে
টু শব্দ উচ্চারণ করেননি। কিন্তু মমতা আছে মমতাতেই। উদ্বোধন ও
শিলান্যাস অনুষ্ঠানের পর সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় । এরপর তিনি তার বক্তব্যে বলেন,“দিল্লির কাছে আমরা ভিক্ষা চাইব না। বাংলার উন্নয়নে
আমরা কাজ করব। কেলেঘাই কপালেশ্বর নদীর সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। খরচ করা হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রুপায়নের জন্য
ইতিমধ্যে আড়াইশো কোটি টাকার বিভিন্ন কাজ করা হয়েছে। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান
রূপায়ণ হবে। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হলে ঘাটাল, দাসপুর ,চন্দ্রকোনা, পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ
বন্যার হাত থেকে মুক্তি পাবে। বারবার দিল্লিকে জানিয়েছি কিন্তু দিল্লি থেকে কোন
অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। তাই আমরা দিল্লির কাছে ভিক্ষা চাই না”।
তিনি আরও বলেন, “কিন্তু জন্ম থেকে মৃত্যু
পর্যন্ত বাংলায় যে প্রকল্প চালু আছে ভারতবর্ষের আর কোথাও সেই প্রকল্প চালু নেই।
বাংলার লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে মডেল প্রকল্প হিসেবে বিভিন্ন রাজ্য চালু করেছে।
খড়্গপুরের তেলুগু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে”।
তেলেগু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনটি বিদ্যালয়ে রয়েছে, একটি
দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দুটি দশম শ্রেণি পর্যন্ত, ওই দুটি দশম
শ্রেণীর বিদ্যালয় কে দ্বাদশ শ্রেণীতে পরিণত করা হলো বলে
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন।
অতীতের
স্মৃতি এদিন উস্কে দেন মমতা। বলেন চমকাই তলা, হলদিয়ায়
সভা করার জন্য মাইক দিতে দেওয়া হয়নি। কলকাতা থেকে মাইক এনে
সভা করেছি। কেশপুরে একাধিক গাড়ি ভেঙে দিয়েছিল আমি ভুলে যাইনি। তারাই এখন বিজেপির
হার্মাদ। সেই সময় চমকাই তলায় অজিত পাঁজা আহত হয়েছিল। লালগড়ের নেতাই গ্রামে
যারাই ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই এখন বিজেপির হার্মাদ।