নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রথম বার জলের তলা দিয়ে মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে হাওড়ায় নামল মানুষের ঢল। হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুটের পাশপাশি, তারাতলা-মাঝেরহাট এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো পরিষেবারও উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন রাজনৈতিক সভা রয়েছে মোদীর। বারাসতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালির অদূরে কাছারি মাঠে মঞ্চ থেকে ভোটের মুখে ফের কী বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় পৌঁছন মোদী। কলকাতায় পৌঁছেই রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের সভাপতি স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজকে দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত,ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশের উদ্বোধন করেন । তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পরে কবে থেকে ওই অংশে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে, তা এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করার কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। ১০ বা ১২ মিনিটের ব্যবধানে মেট্রো চলতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের হাওড়া ময়দান-এসপ্ল্যানেড অংশে।
মেট্রোর উদ্বোধনের পরেই বুধবারই বারাসতের সভায় যোগ দেবেন মোদী। তবে জানা গেছে আগে থেকে ঠিক হয়ে থাকলেও প্রধনমন্ত্রীর সভায় আসছেন না সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সন্দেশখালির প্রায় আটশো মহিলা। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক বিকাশ সিংহ জানিয়েছেন, পরে চেষ্টা করা হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্যাতিতাদের দেখা করিয়ে দেওয়ার।
উল্লেখ্য সামনেই লোকসভা ভোট। তাই ভোটের আগে মার্চের শুরুতেই বাংলায় পা রেখেছিলেন মোদী। গত শুক্রবার হুগলির আরামবাগ এবং শনিবার কৃষ্ণনগরে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই সভা থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন মোদী। সেইসঙ্গে বাংলায় লোকসভার ৪২ আসনে পদ্মফুল ফোটানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সন্দেশখালিকাণ্ডের পাশাপাশি নানা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বাংলার শাসকদলকে বিঁধেছেন মোদী। যা ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।