নিউজ ডেস্ক: বংশানুক্রমিক প্রধানের অবসান ঘটবে। এবার থেকে আর পরম্পরা অনুযায়ী লিডারশীপ পাওয়া যাবেনা। শীঘ্রই আইন প্রয়োগ করে মনিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে বংশানুক্রমিক প্রধানের অবসান ঘটাবে মণিপুর সরকার। এ বিষয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে-এ বিজেপি বিধায়ক রাজকুমার ইমো সিং বলেছেন, রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে গণতান্ত্রিক শাসন ও সমতা আনার প্রয়াসে, মণিপুর সরকার একটি আইন প্রয়োগ করতে প্রস্তুত যা বংশানুক্রমিক প্রধান হওয়ার প্রথার অবসান ঘটাবে।
সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ঘোষণা করেছেন, বংশগত প্রধানত্ব বিলুপ্ত করার লক্ষ্যে মণিপুর সরকার ১৯৬৭ সাল থেকে একটি আইন বলবৎ করবে৷ প্রসঙ্গত, এতদিন বংশানুক্রমিক প্রধানত্ব প্রথার রীতি চলছিল। জানা গেছে ১৯৬৭ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়েছিল এই আইন, তবে এখনও কার্যকর করা হয়নি। এই আইনে বংশানুক্রমিক অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে প্রধানদের গ্রাম প্রতিষ্ঠা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে।
মণিপুর একমাত্র উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেখানে এই আইনটি এখনও কার্যকর করা হয়নি সেই বিবেচনায় মুখ্যমন্ত্রীর জামাই ইমো সিং এবং একজন বিজেপি বিধায়ক, আইনটি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। উল্লেখ্য এর আগে মিজোরাম ১৯৫৪ সালে অনুরূপ আইন প্রয়োগ করেছিল।
বংশগত প্রধানত্ব ব্যবস্থার ফলে শোষণমূলক সমাজের সৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে স্বৈরাচার এবং স্বজনপ্রীতির প্রভাবও বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
অন্যদিকে মায়ানমারের সীমান্তবর্তী মণিপুর ভূমি, সম্পদ, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব এবং ইতিবাচক পদক্ষেপের নীতি নিয়ে পার্বত্য-সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকি-জো উপজাতি এবং উপত্যকা-সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইটিসদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের পরে গত ১০ মাস ধরে অশান্তির পরিণতি ভোগ করছে। তাই এরই মধ্যে এবার আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিল মণিপুর সরকার।