দারুম উলুমের পাক যোগ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন এনসিপিসিআর
চেয়ারম্যান প্রিয়াংক কানুনগো। তাঁর অভিযোগ দারুল উলুম দেওবন্দের সঙ্গে যুক্ত মৌলানারা
জমিয়তে উলেমা এ হিন্দের ব্রিটেন শাখা থেকে কোটি কোটি টাকা ফান্ড পেয়ে থাকে। ওই একই
সংস্থা পাকিস্তানেও টাকা বিলিয়ে থাকে। সেই টাকার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত দারুল উলুম দেওবন্দ এর আগে “গজওয়া এ হিন্দ”এর ফতোয়া
দিয়েছিল। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। ২০০৮ সালে মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভূক্ত করা
হয়েছিল “গজওয়া এ হিন্দ”। এমনটাই অভিযোগ। “গজওয়া এ হিন্দ” কী অনেকেই জানেন না। প্রিয়াঙ্ক
কানুনগো জানিয়েছেন এই চিন্তাভাবনা হল ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাঁর জন্যে প্রয়োজনে হিংসার নিদান রয়েছে। প্রিয়াংক
উত্তরপ্রদেশকে প্রশাসনকে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রিয়াংক প্রশ্ন করেছেন, “গজওয়া এ হিন্দ” ফতোয়াতে বলা হয়েছে যারা
এই লড়াই করতে গিয়ে মারা যাবে তাঁদের শহীদ বলে গণ্য করা হবে। তাহলে কী আজমল কাসাব কে
দারুল উলুম শহীদ মনে করে? তিনি আরও বলেন, “দারুল উলুম পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় মাদ্রাসা
শিক্ষা ব্যবস্থায় সিলেবাস নিয়ন্ত্রণ করে। ১ ডিসেম্বর ২০০৮ সালে তাঁরা “গজওয়া এ হিন্দ”
নামক ফতোয়া জারি করেছিল। ঠিক ২৬/১১ এর পরপরই। দারুল উলুম থেকে প্রভাবিত হয়ে শিশুরা
অন্যায় কাজ করতে পারে এই সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “সম্ভল এলাকার এক তরুণ দেওবন্দ থেকে প্রভাবিত আল কায়দায় যোগ দিয়েছিল।
ফলে এই মানসিকতা খুবই ভয়ংকর হতে পারে”।
তবে এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে দারুল উলুমের ফরানিমহলী শাখার মৌলানা সুফিয়ান নিজামীর তরফে, ” তিনি বলেছেন দেওবন্দ মধ্য প্রাচ্য থেকে টাকা নেয় না। দেশের সংখ্যালঘু সমাজের মানুষ চাঁদা দেন”। বাইরে থেকে আশা ফান্ড যদি বন্ধ করতে হয় তাহলে সমস্ত ধর্মের সমস্ত সংগঠনকে এর আওতায় আনতে হবে যাতে তাঁরা কোন বাইরের দেশ থেকে চাঁদা না আনিতে পারে”।
প্রসঙ্গত জেলা প্রশাসন দারুল উলুমের ওয়েবসাইটে ভারতের উপ আক্রমণ ও তাঁর ইসলামীকরণ সংক্রান্ত যে ফতোয়া আপলোড করেছিল যাকে “গজওয়া এ হিন্দ” হিন্দ বলা হচ্ছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট এনসিপিসিআর’কে জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে ফের জেলাশাসককে নয়া রপোর্ট পেশ করার নির্দেস দিয়েছে। অভিযোগ উঠছে ফতোয়ার মাধ্যমে শিশুদের মনে নিজের দেশের প্রতি ঘৃণা ভরে দেওয়া হচ্ছে”।