বদলাচ্ছে আবহাওয়া। তার সঙ্গে জ্বর আসছে কম বয়সীদের। শিশু হাসপাতলে থিক থিক করা ভিড়। ইমারজেন্সি ও অবজারভেশন ওয়ার্ডে একটি
বেডে দুই থেকে তিনজন শিশু বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতাল, শিশু মঙ্গল সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে।
নেই পর্যাপ্ত পরিকাঠামো, চিকিৎসকের অভাব রয়েছেঅভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার
জন্য খরচ বেশি ভাবায় রোগীদের। সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রাইভেট হাসপাতালে। প্রাইভেটে
একবার রোগী ভর্তি করলেই মোটা অংকের বিলহয়
প্রাইভেট হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে। তাই জ্বরের মতন অসুখে প্রাইভেট হাসপাতালের কথা ভাবতে রীতিমত ভয় পায় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের। বিকল্প
বলতে শুধু সরকারি হাসপাতাল। জেলা হাসপাতালগুলির অবস্থা তথৈবচ।
কলকাতার শিশু মঙ্গল, বিধানচন্দ্র রায়
শিশু হাসপাতাল সহ যে কটি শিশু হাসপাতাল রয়েছে সবকটিতেই এখন এমার্জেন্সি ওয়ার্ডের
বাইরে লম্বা লাইন। আবহাওয়া বদলের সঙ্গে ভাইরাল ফিভার ও নানান কারণে জ্বর হচ্ছে
শিশুদের বলছেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। হাসপাতাল গুলির এমার্জেন্সি ওয়ার্ডে খালি নেই একটি বেড। বেডপেতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিতে হচ্ছে। সংক্রমণ
হতে পারেএমন অসুখ হলেও একটি বেডেই ঠাসাঠাসি
করে থাকতে হচ্ছে কমপক্ষে দুজন রোগীকে।
ফুলবাগানের বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে
গেলেই বোঝা যাবে বাস্তব চিত্রটা কতটা ভয়ানক। ইমারজেন্সির বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা
কোলে অসুস্থ শিশু কোলে নিয়ে অপেক্ষা করছেন রোগীর মা-বাবা। ডাক্তার দেখানোর পর
ইমারজেন্সি ওয়ার্ডে ভর্তি করার নির্দেশ দিলেও বেড খালি
না থাকার অভিযোগ উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই রীতিমতো গুঁতোগুঁতি
করে কমপক্ষে দুই জন শিশুকে একই বেডে থাকতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সংক্রমণ হতে পারে এমন রোগ হলেও সেই শিশু সঙ্গেই থাকতে বাধ্য হচ্ছে অপর রোগী। হাসপাতালের
বাথরুমের অবস্থা তথৈবচ। ময়লা উঠে পড়ছে হাসপাতালে বিভিন্ন
বাথরুমে। পরিষ্কারের বালাই নেই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। হাসপাতাল সূত্রে খবর
কর্মী সংখ্যা কম থাকায় সম্মুখীন হতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন,“চিকিৎসক, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ,প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ, এমনকি
নার্স ও ওয়ার্ড বয়ের ক্ষেত্রেও ঘাটতি রয়েছে। একেকজন
চিকিৎসক শতাধিক রোগী দেখছেন প্রতিদিন। সকলেই যথাসম্ভব পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। পরিকাঠামোগত সমস্যা তো রয়েইছে। রোগীদের অভিযোগ
রোগীর সঙ্গে থাকা আত্মীয়দেরও বসার জায়গার অভাব রয়েছে হাসপাতালে। খোলা আকাশের নিচে আত্মীয়দের ঘন্টার
পর ঘন্টা থাকতে হচ্ছে। বিনামূল্যে যে ওষুধ পাওয়ার কথা তার যোগানেও রয়েছে ঘাটতি।