নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির জনসভায় উঠেই বাংলায় ভাষণ শুরু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। শনিবার সরকারি কর্মসূচি সেরে নরেন্দ্র মোদী পৌঁছন শিলিগুড়ির দলীয় মঞ্চে। সেখানে পৌঁছেই পরিচয় এবং করমর্দন করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও অনেকে। সভায় উঠেই আগের সভা গুলির মতন সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন,তৃণমূল সরকার উজ্জ্বলার সুবিধা পেতে দেয় না, ১৪ লক্ষ মহিলাকে এই রান্নার গ্যাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। পাহাড়কে গুরুত্ব দেয়নি তৃণমূল। ওরা জমি দখল করতে ব্যস্ত ছিল। বিনামূল্যে রেশনের সুবিধাও পেতে দেয় না তৃণমূল সরকার, বললেন মোদী। জানালেন, এঁদের মন্ত্রীই রেশন কেলেঙ্কারি করে। ১০০ দিনের টাকা নিয়েও মোদী সরব হন। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তৃণমূল সরকার তোলাবাজদের পয়সা দেওয়ার জন্য ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে রেখেছে। মোদী সরকার গরিবের টাকা আটকে যাবে ভেবে সেই টাকাও দিয়ে দেয়, বললেন মোদী। প্রতিপদে বাংলার মানুষের টাকা লুট করছে তৃণমূল। চা বাগানের শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এদিন তিনি বলেন, চা বাগানের শ্রমিক এবং চা-চাষীদের জন্য বিজেপি সরকার বহুকাজ করেছে। যার হাত ধরে ২৫ হাজার মানুষ দারিদ্র কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু পরিবারতন্ত্রের পন্থীরা তা আপনাদের পেতে দেয় না।
প্রসঙ্গত,২০২৪ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বিজেপি প্রকাশ্যে এনেছে তাদের প্রথম দফার ভোটার তালিকা। এবার পরের ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পালা পদ্ম শিবিরের। এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে শনিবার উত্তরবঙ্গে হয়ে গেল মোদীর সভা। দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে মোদীর জনসভায় নেমছে মানুষের ঢল। এদিকে, রাত পোহালেই ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনগর্জন সভা। তার ২৪ ঘণ্টা আগে মোদীর এই জনসভা নিঃসন্দেহে বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাখতে চলেছে তাৎপর্য।
শনিবার মোদীর উত্তরবঙ্গের সভার পাশাপাশি একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনও করেছেন। রেলপথ প্রকল্প, বাগডোগরা বিমানবন্দর সম্প্রসারণ-সহ কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
অন্যদিকে শিলিগুড়ির সভায় সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বক্তব্য রাখলেন। শুরুতেই থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। সাফ বললেন, ‘তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়’। ছাব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে বিদায় দিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত অভিজিতের।