নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডের কেসে এসবিআই এর সময় বাড়ানোর আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট এসবিআই-কে ১২ মার্চ, ২০২৪-এর দিনটির ব্যবসায়িক সময় শেষ হওয়ার মধ্যে বিশদ প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে এসবিআই, নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশের নির্ধারিত সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল। এবার সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে কোর্ট। আদালত তরফে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ আগামী ১৫ মার্চ, বিকেল ৫টার মধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য আপলোড করতে হবে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশে বলা হয়, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে শুধুমাত্র দুটি বিষয়ের তথ্য প্রকাশ করতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে। প্রথম, নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতা কে এবং ক্রয় করা বন্ডের সংখ্যা কত। দ্বিতীয়, কোন রাজনৈতিক দল কত বন্ড পেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি কোন বন্ড কার কাছ থেকে পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে না।
উল্লেখ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে নির্বাচনী বন্ড বাতিল করে। সুপ্রিম কোর্ট এসবিআই-কে তার সমস্ত ডেটা প্রকাশ করতে বলেছে। সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে, এসবিআইয়ের পক্ষে উপস্থিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টে বলেছিলেন যে ভারতের নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনী বন্ডের বিশদ জমা দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কের আরও সময় প্রয়োজন। শুনানির সময় আইনজীবী হরিশ সালভে তথ্য দেওয়ার জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। সোমবার সেই মামলায় এসবিআই-এর আর্জি শোনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। শীর্ষ ব্যাঙ্ক আদালতকে জানায়, সমস্ত নথি একত্রিত করে কমিশনকে জমা দিতে কিছুটা সময় লাগবে তাদের।
এই কথার পালটা এসবিআইকে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, ‘২৬ দিন ধরে কী করছিলেন? কেন বন্ধ নথি খোলা হয়নি?’ আদালত জানায়, ‘শুধুমাত্র একটি সিলড কভার খুলতে হত এসবিআইকে। তা সংগ্রহ করতে হত এবং তা নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে হত।’ সেটা না করে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চাওয়ার জন্য এদিন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে ভর্ৎসনা করে আদালত এবং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয় আগামিকাল অর্থাৎ ১২ মার্চের মধ্যে কমিশনকে সমস্ত নথি তুলে দেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩-এর মধ্যে ছ’বছরে রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল। এর মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৬৫৬৪ কোটি টাকা। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৩৫ কোটি টাকা। তৃণমূল কংগ্রেস ১০৯৬ কোটি টাকা পেয়েছিল।