জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন
অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বললেন যার কথার কোন দাম নেই তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বারংবার প্রমাণ করেছেন তাঁর কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই। হাইকমান্ড বারংবার একই ভূল করে
চলেছেন আক্ষেপ অধীরের।
এ প্রসঙ্গে অধীর আরও বলেন, “মমত বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন যদি
ইন্ডিয়া জোটে থাকি তাহলে মোদী জীর সঙ্গে হাড্ডহাড্ডির লড়াই লড়তে হবে। সেই লড়াই হলে দুয়ারে ইডি সিবিআই পৌঁছে যাবে। তাতে
দল বাঁচানোর সমস্যায় পড়তে হবে দিদিকে। যাতে মোদী জী বেঁচে যান তাঁর জন্যই নিজেকে জোট
থেকে আলাদা করেছেন মমতা”।
তিনি আরও বলেন, “জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা দিলেন রাগ করবেন না। আমি জোটে নেই।
মানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেই”।
প্রসঙ্গত এর আগেও তৃণমূলের সঙ্গে জোটে
অনীহা প্রকাশ করেছেন অধীর। অধীরের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের বঙ্গ ব্রিগেড সিপিএমের সঙ্গে
জোটে বেশি স্বাচ্ছন্দ। কিন্তু কংগ্রেসকে জোটের ক্ষেত্রে হাইকমান্ডের দিকে তাকিয়ে থাকতে
হচ্ছে। কংগ্রেস তৃণমূল জোট হলে সিপিএমের সেই জোটে না থাকার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু মমতা
৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেতেই তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে
গেছে। এক্ষেত্রে সিপিএম বা বৃহত্তর বামফ্রন্টের সঙ্গে জোটের ক্ষেত্রে আইএসএফ কাঁটা
রয়েছে। ইতিমধ্যে আই এস এফ ১৪ টি আসন বামেদের বলা ভাল সিপিএমের কাছে চেয়েছে। ফলে বামফ্রন্ট,
আই এস এফ, কংগ্রেস মিলে জোট হবে কে কত আসনে রাজি হবে এখন তা নিয়ে কংগ্রেসের শ্যাম রাখি
না কুল অবস্থা। কারণ আই এস এফ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বহু জায়গায় পঞ্চায়েতে সিপিএম ও কংগ্রেসের
তুলনায় ভাল ফল করেছে। বিধানসভায় তাঁদের বিধায়ক রয়েছে যা কংগ্রেসের ও বামেদের নেই। সাগরদিঘির
কংগ্রেস বিধায়ক আগেই তৃণমূল যোগ দিয়েছেন। ফলে তাঁরা আলোচনার টেবিলে দরকাষাকষির ক্ষেত্রে
ভাল জায়গায় রয়েছে। তবে ভোট যুদ্ধে বাংলায় প্রার্থী তালিকায় দেরি করে ভোটারদের উদ্দেশ্যে
কি কোন শুভ বার্তা দিতে পারছে কি ইন্ডিয়া জোট প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।