নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে অবশেষে দেশজুড়ে সিএএ (CAA) কার্যকর। সোমবার রাত থেকেই গোটা দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার। সিএএ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে আসা সংখ্যালঘুরা। আবেদন করা যাবে পোর্টালে। জানিয়ে দিল কেন্দ্র। প্রসঙ্গত সিএএ কার্যকর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। বিজ্ঞপ্তি জারি করে গ্যারান্টি পূরণ করল মোদি সরকার, দাবি বিজেপির। মোদির গ্যারান্টি মানেই প্রতিশ্রুতি পালনের গ্যারান্টি। অন্যদিকে সিএএ নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর। ‘শুধুই ভাঁওতা, নাগরিকত্ব বাতিল হলে চুপ থাকব না’, হুঙ্কার মমতার।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য এই নাগরকিত্ব সংশোধনী আইন। ওই তিন দেশ বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা মুসলিম-সহ অন্য কোনও বিদেশি শরণার্থীদের জন্য CAA লাগু হবে না।পাসপোর্ট বা ভিসার মতো নথি না থাকলেও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যাবে। সিএএ-র মাধ্য়মে এই শরণার্থীরা এমন সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয়ত, ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য তাঁদের আবেদনের রাস্তা আরও মসৃণ হবে। এদেশে বসবাসের ন্যূনতম সময় ১+১১ বছরের পরিবর্তে ১+৫ বছর হবে।
তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য বলছে, ভারতীয় নাগরিকদের সঙ্গে সিএএ বা নাগরকিত্ব সংশোধনী আইনের কোনও সম্পর্কই নেই। এদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে ভারতীয় সংবিধানে। সিএএ বা এই সম্পর্কিত কোনও আইন সেই অধিকার কেড়ে পারে না। এমনকী, মুসলিম-সহ ভারতীয় নাগরিকদের উপরও সিএএ-র কোনও প্রভাব পড়বে না।
২০১৯ সালে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে সিএএ প্রসঙ্গ তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর শুরু হয়েছিল স্বপ্ন বোনার কাজ। অবশেষে ভোটের ঠিক মুখে বড় ঘোষণা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মঙ্গলবার থেকেই বাসিন্দারা এনিয়ে আবেদন করতে পারবেন। সিএএ নিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে ইতিমধ্যেই পোর্টাল জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাস, কারও নাগরিকত্ব যাবে না।