সোমবারই দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ। সিএএ কার্যকর হতেই সিএএ নিয়ে আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর। হাবড়ায় সভা থেকেই সাবধান করল জনতাকে। বললেন,”পুরোটাই ভাওতা,নির্বাচনের আগে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। যে সিএএ কেন্দ্র ঘোষণা করেছে তার বৈধতা নিয়ে সন্দেহ আছে। দরখাস্ত করলেই নাগরিকত্ব বাতিল করে দেবে। যাদের দরখাস্ত করতে বলা হচ্ছে তারা সতর্ক থাকুন।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সিএএ প্রসঙ্গে আরও বলেন, অধিকার কেড়ে নেওয়ার খেলা, বিজেপি লুডো খেলছে। কেউ বঞ্চিত হলে তিনি নিজেই আশ্রয় দেবেন এদিন হাবড়ার সভা থেকে এও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি জানান, সিএএ এর জন্য দরখাস্ত করলে তখন দরখাস্তকারীর চাকরি, ছেলে মেয়ের পড়াশোনা সবই বেআইনি ঘোষণা হয়ে যাবে। পাশাপাশি যারা দরখাস্ত করবেন তারা কিন্তু বৈধ নাগরিক থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধানসভা কেন্দ্র হাবড়ায় প্রশাসনিক সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাবড়ার বাণীপুরের এই সভা থেকে একগুচ্ছ সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার পরই সিএএ ইস্যুতে লাগাতার কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বারবার বাংলায় সিএএ লাগু করতে দেব না বলে বার্তা দিয়েছেন। আবারও মতুয়া গড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন, সিএএ কোনওভাবেই রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেব না। বাংলায় এনআরসি করতে দেব না, ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না।