নিউজ ডেস্ক: মহাত্মা গান্ধীর ডান্ডি পদযাত্রার ৯৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার গুজরাটের সবরমতিতে মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমে ‘আশ্রম ভূমি বন্দনা’ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে সবরমতি আশ্রমের পুনরুদ্ধারের মাস্টারপ্ল্যান হিসেবে ১২০০ কোটি টাকার ‘সবরমতি আশ্রম মেমোরিয়াল অ্যান্ড প্রিসিন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এরও উন্মোচন করেন তিনি। একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , ১২০০ কোটি টাকার বাজেটের এই প্রকল্পের লক্ষ্য বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা এবং দর্শনকে পুনরুজ্জীবিত করা।
সবরমতিতে মহাত্মা গান্ধী আশ্রমে পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রী একটি চারা রোপণ করেন এবং সবরমতী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করতে এবং স্বদেশী প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির সাক্ষী হতে গুজরাট এবং রাজস্থান সফরে বেড়িয়েছিলেন। এদিনই গুজরাটের আহমেদাবাদে সবরমতি আশ্রম পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। ১২ মার্চ কোচরাব আশ্রম উদ্বোধন এবং গান্ধী আশ্রম স্মৃতিসৌধের মাস্টার প্ল্যান চালু করতে আশ্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
মঙ্গলবার সমাবেশের বক্তৃতায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, “আজ ১২ মার্চ, আজই সেই দিন যেদিন মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাহ পরিবর্তন করেছিলেন যার ফলে ইতিহাসের পাতায় ডান্ডি অভিযান স্বর্ণাক্ষরে নিবন্ধিত হয়েছিল।”
জানা গেছে ,আহমেদাবাদের এইচসিপি ডিজাইন ও প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থা এই মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১২০ একর জুড়ে বিস্তৃত মূল আশ্রমে বিদ্যমান ৬৩টি ভবনের প্রায় অর্ধেকেরই পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ এবং পুনর্নির্মাণ করা হবে। সব মিলিয়ে ৩৬টি ভবনের কাজ হবে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ২০টি পুরানো ভবনের সংরক্ষণ, ১৩টি ভবনের সুনির্দিষ্ট পুনরুদ্ধার, এবং আশ্রমের মূল স্থাপত্যের সরলতা এবং সারমর্মকে মেনে চলার পবিত্র লক্ষ্যকে মাথায় রেখে তিনটি ভবনের পুনঃউন্নয়ন। পুনরুদ্ধারের তালিকায় রয়েছে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের অফিস,দুটি গোশালা এবং আরও দশ ওর্দি এবং পুনঃউন্নয়নের তালিকায় আছে দেহলা পুনি কেন্দ্র, সাত অর্দি এবং আনন্দ ভবন সংগ্রহালয়।