নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর নির্বাচনের আগেই, এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রামনাথ কোবিন্দের কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভবনে গিয়ে আট খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট জমা দিল। ভোটের আগেই ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কমিটি।
উল্লেখ্য,প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে এই কমিটির সদস্য হিসাবে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যসভার সদস্য গুলাম নবি আজাদ, লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ সি কাশ্যপরা। বর্তমানে দেশের লোকসভা নির্বাচন এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আলাদা আলাদা সময়ে হয়। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতিতে সেই হিসাব বদলে যাবে। তখন ভারতের সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গেই অঙ্গ রাজ্যগুলির বিধানসভা ভোটও অনুষ্ঠিত হবে। যদিও লোকসভার সঙ্গেই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলার পক্ষে মোদি সরকারের যুক্তি হল, এক দেশ এক ভোট চালু হলে নির্বাচনের খরচ কমবে। একটি ভোটার তালিকাতেই দুটি নির্বাচন হওয়ায় সরকারি কর্মীদের তালিকা তৈরির কাজের চাপ কমবে। ভোটের আদর্শ আচরণ বিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না।
তবে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই এই পদক্ষেপ ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিরোধী দলগুলি ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতির বিপক্ষে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলেও বিরোধী নেতৃত্বের অভিযোগ।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠনের পর থেকে এই প্রক্রিয়া চলার পর শেষমেশ ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের মুখে রাষ্ট্রপতির কাছে গেল এই রিপোর্ট।