জাতীয় নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন
জ্ঞানেশ কুমার ও সুখবীর সিং সান্ধু। নির্বাচন কমিশনের জোড়া শূন্যপদে এই দুই
আমলাকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই দুই শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। এই কমিটিতে ছিলেন
লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীও। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনিই দেশের নতুন দুই
নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রকাশ্যে আনেন। এছাড়াও কমিটিতে ছিলেন কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সুখবীর সিং সান্ধু ১৯৯৮ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস
আধিকারিক। তাঁর জন্ম ১৯৬৩ সালে। অমৃতসরের সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ও
গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন
করেছেন তিনি। তার আগে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগে অতিরিক্ত
সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সুখবীর সিং সান্ধু কে ১৯৯৮ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস
আধিকারিক। জন্ম ১৯৬৩ সালে
অমৃতসরের সরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে MBBS
গুরু নানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে
স্নাতকোত্তর করেছেন। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যসচিব ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের
চেয়ারম্যান ছিলেন।
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগে
অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
অন্যদিকে, কেরালার ১৯৮৮ ব্যাচের
আইএএস অফিসার জ্ঞানেশ কুমার। কয়েকদিন আগে সমবায় মন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর
নিয়েছেন। মন্ত্রক গঠনের পর থেকেই তিনি ওই পদে ছিলেন। এই মন্ত্রক
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে আছে। এর আগে জ্ঞানেশ কুমার স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রকের অধীনস্থ কাশ্মীর বিভাগের যুগ্মসচিব ছিলেন। তিনি কেরালার
১৯৮৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার সমবায় মন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন।
ওই মন্ত্রক গঠনের পর থেকেই পদে ছিলেন। এই
মন্ত্রক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রকের অধীনস্থ কাশ্মীর বিভাগের যুগ্মসচিব ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দেশে এক জন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার-সহ মোট তিন জন নির্বাচন কমিশনারের
থাকার কথা। এত দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়লই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তৃতীয় নির্বাচন কমিশনারের পদটি দীর্ঘ দিন ধরেই
শূন্য ছিল। কিন্তু ৯ মার্চ হঠাৎ ইস্তফা দেন অরুণ। ‘ব্যক্তিগত
কারণে‘ পদত্যাগ করেছেন বলে রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া চিঠি থেকে
জানা যায়। এদিকে শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বেই দেশে লোকসভা
নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। তবে
কেন্দ্রের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, খুব শীঘ্রই জোড়া
শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। স্থির হয়, ১৪ মার্চ
এই নিয়ে বৈঠকে বসবে তিন সদস্যের বাছাই কমিটি। সেখানেই কমিশনারদের নাম চূড়ান্ত হয়।