নিউজ ডেস্ক: এ এক অভিনব ঘটনা। দেশের প্রথম আন্ডার ওয়াটার মেট্রো রুটে ভোট প্রচার করল বিজেপি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। শনিবারই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই যেসব দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পেয়েছে তারা ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ভোট প্রচার। শুক্রবারই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সদ্য নির্মিত হাওড়া-এসপ্লানেড মেট্রো। আর সেখানেই জলের গভীরে গঙ্গার তোলায় নয়া মেট্রোতে চেপে ভোট প্রচার করলেন হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী ।
এদিন অভিনব নির্বাচনী প্রচার সারলেন হাওড়া সদরের বিজেপি প্রার্থী। যাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতা ও চকলেট দেওয়ার মাধ্যমে জনসংযোগের নতুন মাধ্যম বেছে নিলেন এই বিজেপি প্রার্থী। জানা গেছে, এমনিতে পেশায় চিকিৎসক হাওড়ার বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী প্রতিদিন হাওড়া থেকে নিজের গাড়ি করে কলকাতায় নিজস্ব চেম্বারে যান। তবে শুক্রবার তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেননি। হাওড়া থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত নতুন মেট্রো চড়েই যান। সঙ্গে ছিলেন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক।
এদিন মেট্রো স্টেশনে ঢুকেই প্রবেশপথে প্রথমে প্রচার করেন। এর পর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে গেলে আরপিএফ বাধা দেন তাঁকে। মৃদু বচসাও হয়। পরে যদিও টিকিট হাতে রথীন-সহ অন্যান্যরা মেট্রো স্টেশনে ঢুকে যান। এরপর হ্যান্ডমাইক নিয়ে তাঁর সমর্থনে প্রচার করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সঙ্গে ছিলেন উমেশ রাই, গৌরাঙ্গ ভট্টাচার্য -সহ বিজেপির নেতা কর্মীরা। যদিও এ প্রসঙ্গে রথীন চক্রবর্তী জানান,‘এটা ভোট প্রচার নয়। আমরা নরেন্দ্র মোদিজীর উন্নয়নের সাক্ষী থাকলাম।’
উল্লেখ্য গঙ্গার নিচের এই মেট্রো সফরের জন্য উদগ্রীব ছিলেন অনেকেই ৷ শুক্রবার তাই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো ৷ সেই ভিড়ের নজর বিজেপির দিকে টানতেই হাওড়া ময়দান স্টেশনের বাইরে প্রচারও শুরু করে গেরুয়া শিবির ৷ মাইকিং করা হয়, স্লোগান দেওয়া হয় ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামে জয়ধ্বনিও দেওয়া হয় বিজেপির তরফে ৷