শনিবার সাত সকালে টোটো চেপে সাধারণ মানুষের
বেশে হাওড়ার একটি স্কুলে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই
ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল পড়ে যায় হাওড়ার
প্রশাসনিক মহলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজভবন
থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বাবুঘাটে এসে সাধারণ মানুষের বেশে গঙ্গায় লঞ্চ পেরিয়ে
রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন রাজ্যপাল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা। মাথায় কালো
টুপি, গায়ে সাদা জামা পরা রাজ্যপালকে প্রথমে চিনতে পারেননি
কেউ। খবর পাওয়ার পরেই হাওড়া সিটি পুলিশের সমস্ত পদস্থ কর্তা ছুটে আসেন।
পুলিশ জানায়, রাজ্যপাল রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসার পর তিনটি টোটো ভাড়া করেন। টোটোচালকদের বলেন, হাওড়ার একটা বড় স্কুলে নিয়ে যেতে। টোটোচালকরাই তাঁকে গঙ্গার ঘাট থেকে
মিনিট পাঁচেকের দূরত্বে হাওড়ার একটি
হিন্দি মাধ্যমে স্কুলে তাঁকে নিয়ে যান। ওই স্কুলের সামনে নেমে রাজ্যপাল তিনটি
টোটচালককে ৫০০ টাকা করে ভাড়া দেন। এরপর গটগট করে ঢুকে পড়েন
স্কুলের মধ্যে। রাজ্যপালকে অর্তকিতে স্কুলে আসতে দেখে হৈচৈ পড়ে যায় গোটা স্কুলে।
পরে স্কুল থেকে বরোনোর সময় এ ভাবে সাতসকালে কোনও আমন্ত্রণ
ছাড়াই ওই স্কুলে আসার ব্যাপারে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি
পশ্চিমবঙ্গকে আবিস্কার করতে চাই। এ জন্য সব থেকে ভাল উপায় স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের
সঙ্গে মেশা। সেটাই আমি করেছি। আমি খুব উৎসাহিত এবং উজ্জীবিত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা
বলে। এই বাংলার পড়ুয়ারা সারা পৃথীবির মধ্যে সেরা। এখানকার শিক্ষার পদ্ধতিতে
শিক্ষকরা তাঁদের সবোর্ৎকৃষ্ট শিক্ষায় গড়ে তুলছেন।’’ এই বক্তব্য রাখার পরেই
রাজ্যপাল গাড়িতে ওঠার আগে বলেন, ‘‘ থ্রি চিয়ারসা ফর টিচারস অ্যান্ড
থ্রি চিয়ারস ফর স্টুডেন্স।’