নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে নতুন করে তথ্য প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড করেছে। রাজনৈতিক দলগুলির দেওয়া নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত আরেকটি তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই তথ্যে রাজনৈতিক দলগুলি জানিয়েছে তারা কতগুলি বন্ড নগদ করেছে এবং তার পরিমাণ কত।
নতুন তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের ৫০০টিরও বেশি স্বীকৃত রাজনৈতিক দল তাদের পাওয়া বন্ড অনুদান নিয়ে তথ্য জমা দিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সর্বাধিক ৬,৯৮৬.৫ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তারা পেয়েছে ১,৩৯৭ কোটি টাকা। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। তাদের আয় ১৩৩৪.৩৫ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে আছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। তারা পেয়েছে ১,৩২২ কোটি টাকা। এছাড়াও ডিএমকে, এডিএমকে, আপ, এসপি, জেডিএস, এনসিপি, জেডিইউ-এর মতো ১০টি দল অবশ্য স্বেচ্ছায় জানিয়ে দিয়েছে, তারা কার থেকে কত কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা দেওয়ার নিরিখে শীর্ষে ছিল ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস সংস্থা।
বিজু জনতা দল তথা বিজেডি ,তারা পেয়েছে ৯৪৪.৫ কোটি টাকা ও ডিএমকে পেয়েছে ৬৫৬.৫ কোটি টাকা। এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের আয় ৪৪২.৮ কোটি টাকা। আর ডিএমকে যে পরিমাণ অনুদান পেয়েছে, সেটার ৭৭ শতাংশের বেশি এসেছে ‘লটারিং কিং’ সান্তিয়াগো মার্টিনের ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের থেকে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর শাসক দলকে ৫০৯ কোটি টাকা দিয়েছে ফিউচার গেমিং।
অন্যদিকে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি জাতীয় দল হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে এক পয়সাও অনুদান পায়নি। এদিকে উত্তরপূর্ব ভারতের একমাত্র জাতীয় দল তথা এনডিএ-র শরিক এনপিপি-ও জানিয়েছে, তারা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনও টাকা পায়নি।
উল্লেখ্য একদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে তথ্য জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। এবার সেই তথ্যই কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী বন্ডকে চিহ্নিত করার সংখ্যা স্টেট ব্যাঙ্ক প্রকাশ করেনি। ফলে কে কোন দলকে চাঁদা দিয়েছে, তা প্রকাশ্যে আসেনি।