নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট। আর এরই মধ্যে জেলায় জেলায় ভোট প্রচারে বেড়িয়ে পড়েছে প্রার্থীরা। অর্থাৎ বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম জোড় কদমে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে। প্রচারে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ সব দলই।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ট্রেনে চেপে ভোট প্রচার সারলেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। ট্রেনে মশাগ্রাম যাওয়ার পথে প্রচার করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী। ঝালমুড়ি খেতে খেতে শুনলেন ট্রেন যাত্রীদের কথা। প্রত্যেকের কাছে হাতজোড় করে চাইলেন ভোট।
পাশাপাশি এই প্রথম সৌমেন্দু অধিকারীর হয়ে ভোট প্রচারে নামলেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। পরিবারের তিন ছেলে ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগ দিলেও তিনি এখনও খাতায়কলমে জোড়াফুলে। রবিবার রামনগরের কালিন্দীতে কাঁথি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুর প্রচারে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে সোমবার একদম সক্কাল-সক্কাল ভোটের প্রচারে বেরিয়ে পড়েছেন যাদবপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বাজারে গিয়ে প্রচারের সময় একদম সাধারণ মানুষের মতো সবজি কিনলেন দাম-দর করে। লালশাক, ফুলকপি আরও কত কী। জানালেন, তিনি বাড়ি না থাকায় কার্যত অসুবিধায়ই হয়ে যাচ্ছে তাঁর বাবার। সেই কারণে বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে যেমন প্রচারও হল। তেমন আবার বাজার করাও হল। প্রচার পর্বে সাংবাদিকরা সায়নিকে প্রশ্ন করেন তাঁর বিপরীতে দাঁড়ানো বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে নিয়ে। তৃণমূল নেত্রী বললেন, “সৃজন ভাল ছেলে। বামেরা যে এখন নতুন মুখদের তুলে আনছে এটা খুব ভাল কথা। এখন মানুষ বিচার করবেন কাকে ভোট দেবেন।”
এদিনই প্রচারে বেড়িয়েছিল যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। এর আগে বৃহস্পতিবার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যত প্রচার শুরু করে দেন তিনি। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের বামনঘাটায় আসেন তিনি। সেখানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। এই কেন্দ্র থেকে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
অন্যদিকে পাণ্ডুয়া বিধানসভা এলাকায় প্রচার করলেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিপক্ষ তাঁরই অতীত সহকর্মী ও বিজেপির নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে সিমলাগড় কালীবাড়িতে পুজো দেন তিনি। এরপর হুডখোলা গাড়িতে চড়ে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।