নিউজ ডেস্ক: CAA বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর অধীনে বিধিগুলি কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল৷মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলার শুনানি করতে চলেছে দেশের শীর্ষ আদালত ৷ এখনও পর্যন্ত সিএএ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে এবং তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে ৷ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে এই আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে ২০০ টিরও বেশি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি রয়েছে৷ এ বিষয়ে আদালতের রায় এখনও আসেনি।
উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আইন লাগু হওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারির পরই ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ-সহ অন্যান্য একাধিক সংগঠনের তরফে শীর্ষ আদালতে আবেদন দাখিল করা হয়েছে ৷ প্রত্যেক আবেদনকারীই রিট পিটিশনে সিএএ আইনের বিধির উপর স্থগিত চেয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে আইইউএমএলের দায়ের করা আবেদনে, আইনজীবী কপিল সিব্বল এই বিষয়ে জরুরি শুনানির আবেদন করেছিলেন। এবার এই সংক্রান্ত একগুচ্ছ মামলার শুনানি করতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত, CAA সংক্রান্ত মামলাগুলি ২০২২ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে বিচরাধীন ছিল। প্রধান বিচারপতি অবসরগ্রহণের পর এই মামলাগুলি বর্তমানে বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন।
তবে এই আইন কার্যকর হতেই এর বিরোধিতা করে একের পর এক মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। নতুন আইনকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারতীয় মুসলিম লিগ, ডিওয়াইএফআইয়ের মতো একাধিক সংগঠন। মঙ্গলবার সেই মামলাগুলিরও শুনানি দেবে সুপ্রিম কোর্ট।